প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০১
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়

আমাদের শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমকে কেন্দ্র করে আমাদের সুস্বাস্থ্য অনেকাংশে নির্ভর করে। দেখবেন রাতে ভালো ঘুম হলে আপনার মেজাজ ফুরফুরে থাকবে। আবার পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর আর মনে মারাত্নক প্রভাব পড়বে। আপনার জীবনযাপন এবং খাদ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া ঘুমের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যক্তিভেদে ঘুমের ব্যপ্তির তারতম্য হতে পারে। তবে একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের রাতে দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। রাতে ৭ ঘণ্টার বেশি সময় ঘুমালে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। এতে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতাও কমবে।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে একদিকে যেমন ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের সমস্যা বাড়তে পারে। তেমনি বাড়তে পারে মানসিক সমস্যা। কম ঘুম আপনার মনে হতাশার জন্ম দেবে। এতে আপনার মানসিক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
রাতে ভালো ঘুম না হলে যা করবেন
১. রাতে যখনি ঘুম আসবে মনে হবে, তখনি ঘুমাতে যান। ঘুম ঘুম চোখে জেগে থাকবেন না।
২. প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠার চেষ্টা করুন।
৩. চেষ্টা করুন দিনে দেড় থেকে দুই ঘণ্টার বেশি সময় না ঘুমানোর। তাহলে রাতে ভালো ঘুম হবে। দিনের বেলার দীর্ঘ ঘুম আপনার রাতের ঘুমে প্রভাব ফেলতে পারে।
৪. চেষ্টা করুন ঘুমাতে যাওয়ার অনন্ত ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে কফি পান না করার। কফি পানে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৫. ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে থেকে মোবাইল, কম্পিউটার, টিভি থেকে দূরে থাকুন।
৬. ঘুমের জন্য দরকার আসলে শীতল ঘর। আপনার ঘুমের ঘর আরামদায়ক রাখার চেষ্টা করুন। দেখবেন রাতে ভালো ঘুম হবে।
৭. রাতের বেলায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে উঠে বসবেন না। এ সময় বিছানায় শুয়ে থাকুন, দেখবেন কোনো এক সময় ঘুম চলে আসবে।
৮. শোয়ার জন্য আরামদায়ক বিছানা, বালিশ নিন। তা না হলে রাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। আবার বাড়তে পারে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা।
৯. প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন। এতে শরীর ভালো থাকবে। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শরীরচর্চা করবেন না।
১০. ঘুমের বেশি সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সূত্র : হেলথলাইন