মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

শিক্ষার্থীর অমলিন হাসি
অনলাইন ডেস্ক

আমি যখন সহকারী শিক্ষক ছিলাম তখন থেকেই চেষ্টা করছি মনপ্রাণ উজার করে শিক্ষার্থীদের জন্যে সেরাটা দেয়ার। আমার আরেকটি অদম্য মনোবাসনা ছিলো আমি প্রধান শিক্ষক হতে পারলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারীদের জন্যে সাধ্যের মধ্যে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। কারণ সহকারী শিক্ষক হিসেবে সব কিছু করা যায় না।

আলহামদুলিল্লাহ আমি ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট থেকে প্রশাসনিক পদে অধিষ্ঠিত হলাম। তখন থেকেই আমার দায়িত্ববোধ সম্পর্কে আমি সচেতন থেকে একাগ্রহচিত্তে নিরলসভাবে সাধ্যমতো সব কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। হয়তো সীমিত সাধ্যের মধ্যে তেমন কিছু করতে পারিনি। তবে চেষ্টা করছি অবিরত।

৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আমার শিক্ষকদের জন্যে কিছু করার চেষ্টা। সকালে শিক্ষকদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখ করিয়ে শ্রেণি কার্যক্রমে পাঠিয়ে ক্লাস পরিদর্শন করে অফিসে বসে দাপ্তরিক কাজ করছিলাম। এমন সময়ে লক্ষ্য করলাম একটি ছোট্ট মেয়ে (৬ষ্ঠ শ্রেণির) সাথে একজনকে নিয়ে আমার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমার নজর পড়তেই সালাম বিনিময়ে করে আমার সাথে সাক্ষাৎ করার অনুমতি প্রার্থনা করলে, আমি আসতে বলি। সে একেবারে আমার কোলঘেঁষে দাঁড়ালো। আমি দেখে অভিভূত হলাম। তার মুখের মাস্কটি পুরানো দেখে, নতুন একটি মাস্ক পরিয়ে দিলাম। অতঃপর তার সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শুনলাম এবং সমাধান করার আশ্বাস দিলাম। আমি দেখলাম আমার সামনে রাখা ফুলের তোড়াটির দিকে সে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

আমি তাকে ফুলের তোড়াটি উপহার করলাম। সে যে কি খুশি হলো আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সে আমাকে বললো, স্যার এটা আপনার কাছে রাখেন, আমি ক্লাস শেষ করে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবো। আচ্ছা! ঠিক আছে। তাদের ক্লাস শেষ হলো। আমি দেখি সে আমার অফিসের সামনে ঘুরাঘুরি করছে। আমি তাকে ডেকে এনে ফুলের তোড়াটি হাতে তুলে দিলে তার বাঁধভাঙ্গা হাসি দেখে কে! তার নাচতে নাচতে চলে যাওয়ার দৃশ্য শুধু আমি অনুভব করলাম। প্রাণপ্রিয় সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্যে নিরন্তর শুভ কামনা। ভালো থাকুক শিক্ষক সমাজ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়