প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫
কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সভাপতির শুভেচ্ছা বার্তা

আজ থেকে ৫৭ বছর আগে, ১৯৬৮ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে যে ছোট্ট স্বপ্নের বীজ ‘মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা’ নামে রোপিত হয়েছিল, আজ তা বিকশিত হয়েছে শাখা-প্রশাখায়, ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়েছে তার কর্মময় যাত্রাপথ। সূচনালগ্ন থেকেই সংগঠনটি শিশু-কিশোরদের মেধা, মননশীলতা, সৃজনশীলতা ও মানবিক চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শত বাধা-বিপত্তি, চড়াই-উতরাই ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তার পথচলা থেমে থাকেনি। এই যাত্রাপথের প্রতিটি ধাপে লুকিয়ে আছে অগণিত কর্মীর শ্রম, অসংখ্য অভিভাবকের সহযোগিতা এবং শিশু-কিশোর ভাইবোনদের অকৃত্রিম ভালোবাসা। সুদীর্ঘ এ পথের সাধনা, ত্যাগ ও অধ্যবসায়ের প্রতিটি মুহূর্ত আজ গৌরবদীপ্ত।
৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কচি-কাঁচা দিবসের এই শুভক্ষণে আমি মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলার সকল সদস্য, শুভানুধ্যায়ী ও অভিভাবকসহ সকল ভাইবোনকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন, উষ্ণ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
‘সূর্যমুখী’ নামটি যেমন প্রতীকী, তেমনি তা গভীর অর্থবহ। সূর্যমুখী ফুল মুখ তুলে থাকে সূর্যের দিকে, আলোর দিকে। তেমনি কচি-কাঁচার মেলার শিশু-কিশোররাও আলোর সন্ধানী। তারা এগিয়ে চলে অশিক্ষা ও কুসংস্কারের অন্ধকার পেরিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উজ্জ্বল দিগন্তে; কুপমণ্ডূকতা থেকে মুক্তচিন্তার পথে; হিংসা-বিদ্বেষের অন্ধকার থেকে ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও মানবতার আলোয় উদ্ভাসিত ভবিষ্যতের দিকে।
আমাদের শিশুদের কচি-কোমল মন যেন সঠিক পথনির্দেশ পেয়ে বিকশিত হয়, সে-দায়িত্ব আমাদের সকলের। মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা হয়ে উঠবে আলোকিত, দায়িত্ববান নাগরিক-এই হোক আমাদের যৌথ প্রত্যয়।
মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলার কার্যক্রম আরও প্রসারিত হোক, তার আলোর পরিধি আরও বিস্তৃত হোক, এই শুভদিনে এটাই আমাদের সকলের আন্তরিক প্রত্যাশা।খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, সভাপতি, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা, ঢাকা।








