প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫, ১১:২৬
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতির বাণী

৩০ মে বাংলাদেশের মানুষের জন্যে একটি চরম শোকাবহ দিন। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে শাহাদাতবরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রাক্তন সেনাপ্রধান, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বাধীনতার ঘোষক, স্বাধীনতা যুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক, ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী জনগণের নয়নমণি, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-অখণ্ডতার প্রতীক শহীদ জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম। তাঁর অসাধারণ দেশপ্রেম, অসম সাহসিকতা, সততা-নিষ্ঠা ও কর্মময় জীবনের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে পুরো জাতি।
জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি কখনোই মেনে নিতে পারেনি। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই অশুভ চক্র তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়। তবে চক্রান্তকারীরা যতোই চেষ্টা করুক, কোনো ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেই তিনি বিস্মৃত হন না, বরং নিজ দেশের জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে অবস্থান করেন। নিখাদ দেশপ্রেমিক এই মানুষটিকে কেউ কখনো তাঁর বিশ্বাস থেকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। তিনি সারাজীবন আদর্শকে বুকে ধারণ করে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে গেছেন।
‘শহীদ জিয়া মানে রক্ত ঋণে অর্জিত স্বাধীনতা, শহীদ জিয়া মানে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ব্যাকুলতা, তুমি আছো তুমি থাকবে কোটি প্রাণের স্বাধীনতায়’। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা। মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন, আমিন।
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক
প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক,
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি
ও
সভাপতি, চাঁদপুর জেলা বিএনপি।