বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ যৌথ বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট ৯০ যানবাহনে তল্লাশি।। ১২ মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, ৬ গাড়ি জব্দ
  •   হরিণা থেকে দু মাদক ব্যবসায়ী আটক
  •   কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩৯ জনের তথ্য চেয়েছে দুদক

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫, ১১:২৩

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বাণী

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বাণী

আজ ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা, জেড ফোর্সের অধিনায়ক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বীর উত্তমের শাহাদাতবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ১৯৮১ সালের এই দিনে জনগণের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নেয়া জনতার জিয়া চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালন করছে।

১৯৩৮ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলীর বাগবাড়ীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তৎকালীন দিকভ্রান্ত মানুষের মাঝে অসীম সাহসের সঞ্চার করেন। তাঁর ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাখ লাখ মানুষ। স্বাধীনতার ঘোষণা করেই ক্ষান্ত হননি তিনি, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকার তাঁকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করেন। এরপর আবার নিজ পেশায় ফিরে যান তিনি। ‘৭৫ সালে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যখন বিপন্ন হওয়ার উপক্রম, তখন সিপাহী-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে তাঁর হাতে দেশের দায়িত্ব তুলে দেন। দায়িত্ব পেয়ে স্বল্প সময়ের রাষ্ট্র পরিচালনায় জিয়াউর রহমান এক নতুন বাংলাদেশের বুনিয়াদ রচনা করেন। দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া, কৃষি স্বনির্ভরতা অর্জন করে দেশকে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠাসহ দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে এমন কোনো ক্ষেত্র ছিল না যার সূচনা তিনি করে যাননি। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদাশীল, উন্নত, উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। অল্প সময়েই প্রিয় রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি বাংলাদেশের মানুষের মনের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নেন। বাংলাদেশিদের আত্মপরিচয়ে নতুনমাত্রা দেন জিয়াউর রহমান। তাঁর এ জনপ্রিয়তা এক সময়ে কাল হয়ে দাঁড়ায়। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের নির্মম শিকার হন তিনি।

‘তোমার কর্মেই তুমি মহান হে কোটি কোটি বাঙালির রাখাল রাজা।’

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধা। মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন, আমিন।

অ্যাডভোকেট একেএম সলিম উল্যাহ সেলিম,

সাধারণ সম্পাদক,

চাঁদপুর জেলা বিএনপি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়