রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:০৬

হাজীগঞ্জে বসতঘর ঘেঁষে গোয়ালঘর

দুর্গন্ধের প্রতিবাদ করায় নারী ও শিশুকে পিটিয়ে জখম

কামরুজ্জামান টুটুল
দুর্গন্ধের প্রতিবাদ করায় নারী ও শিশুকে পিটিয়ে জখম

বসতঘর ঘেঁষে গড়ে তোলা হয় গোয়ালঘর। সেই গোয়ালঘরের গোবরের গন্ধে গত ৬ বছর ধরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে একটি প্রবাসী পরিবার। শেষমেষ দুর্গন্ধে টিকতে না পেরে অনুরোধ করে ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে। এতেই ঘটে বিপত্তি। শাশুড়ি, তার ছেলে, মেয়ে, পুত্রবধূ আর ছোট শিশুকে পিটিয়ে জখম করে গরুর মালিক ও তার ছেলে। এতেই ক্ষান্ত থাকেননি গরুর মালিক। ঘণ্টায় ঘণ্টায় হুমকি দেয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে।

গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের ৬নং বড়কুল ইউনিয়নের সেন্দ্রা ছাড়া বাড়ির প্রবাসী হারুনুর রশিদের ঘরের পাশে।

এ ঘটনায় আহত ও ভুক্তভোগী পারুল বেগম হাজীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে একই বাড়ির মো. আলমগীরের ছেলে আল-আমিন (৩০), সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আলমগীর ও আলমগীরের স্ত্রী আমেনা বেগম (৪৫)কে বিবাদী করা হয়।

আহতরা হলেন হারুনুর রশিদের স্ত্রী পারুল বেগম (৫৫), তাদের ছেলে ইমরানের স্ত্রী শারমিন বেগম (২১), তাদের শিশু সন্তান মিম (৩) ও মো. আলীর স্ত্রী সুমি বেগম (২৪)।

পারুল বেগম বলেন, আমাদের ঘরে পুরুষ বলতে কেউ নেই। আমার স্বামী ও একমাত্র ছেলে প্রবাসে থাকে। ৬/৭ বছর পূর্বে আমাদের বসতঘরের পাশে আলমগীর গোয়ালঘর স্থাপন করেন। গরুর গোবরের দুর্গন্ধে আমরা প্রায় সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি। এর মধ্যে আমার শিশু নাতনি মিম সবসময় অসুস্থ থাকে।

বিষয়টি নিয়ে বহুবার বলা হলেও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো তারাই আমাদেরকে গালমন্দ ও মারধর করতে আসে। আমাদের ঘরে পুরুষ না থাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আল-আমিন, তার বাবা আলমগীর ও মা আমেনা অতর্কিত হামলা ও মারধর করে। তারা আমার শিশু নাতনিকেও ছাড়েনি।

শারমিন বেগম বলেন, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে গোয়ালঘরে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর কথা বললে তারা গালমন্দ করে, হুমকি-ধমকি দেয়। আমাদের ঘরে পুরুষ না থাকায় তাদের ভয়ে আমরা কিছু বলি না। ওইদিন ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর কথা বললে তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা ও মারধর করে এবং আমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে আমার জামা ছিঁড়ে ফেলে। আমি মারধর সহ্য করে কোনোমতে ইজ্জত বাঁচিয়েছি।

মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন বলেন, আমি গোয়ালঘর আগে করেছি, পরে তারা বিল্ডিং করেছে। আমরা তাদেরকে মারধর করিনি, তারাই আমাদেরকে মারধর করেছে। তাদের মারধরে আমরা এখন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছি।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়