রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩২ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৬:২৩

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বহু গাছ কেটে নিলেন ওয়ার্ড বিএনপি নেতা!

‎নিজস্ব প্রতিনিধি।।
দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বহু গাছ কেটে নিলেন ওয়ার্ড বিএনপি নেতা!
ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যের গাছ কেটে নিয়ে গেছে ওয়ার্ড বিএনপি নেতা।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালী গ্রামে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক অন্যের বহু গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গাছ কাটার অভিযোগে বিএনপির ওয়ার্ড নেতা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ! এতে চরম অসহায় অবস্থায় পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি।

‎অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে লকিয়ত উল্লাহ ও আব্দুল হামিদ নামের দুজন ১৯৮৫ নম্বর দলিলের মাধ্যমে ২১ শতক জমি অদল-বদল করেন। এরপর থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে লকিয়ত উল্লাহর পরিবার এ জমি ভোগদখল করে আসছে এবং সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছও রোপণ করা হয়।‎

‎মঙ্গলবার (১২ আগস্ট ২০২৫) সকালে জাকির হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে লকিয়তের বংশধরদের বাগানে থাকা গাছগুলো জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। বাধা দিলে তিনি প্রাণনাশের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। নিরূপায় হয়ে লকিয়তের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তবে ১৩ আগস্ট অভিযোগ করার পরও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

‎এর আগে একই জমি নিয়ে জাকির হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয় সালিসে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। সালিসে লকিয়ত উল্লাহর পরিবারকে জমির মালিকানা প্রমাণিত করা হয়। তবুও চলতি আগস্টের শুরুর দিকে আবারও ওই জমিতে থাকা গাছ কেটে ফেলেন জাকির হোসেন।

‎এ বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমার বাবা ৩০ বছর আগে জমিটি অদলবদল করেছেন। মা সেই জমিতে গাছ রোপণ করেছিলেন। জাকির হোসেন ক্ষমতার জোরে আমাদের গাছ কেটে ফেলেছে। সালিসে বহুবার প্রমাণ হয়েছে জমিটি আমাদের। এখন সে জোর করে দখলের চেষ্টা করছে। আমি এর বিচার চাই।”

‎অভিযুক্ত জাকির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “তারা যে জমি অদলবদল করেছে সেটি আসলে ভুয়া দাগের জমি। খাজনা-খারিজ আমরা করতে পারিনি। আমার জমির কাগজপত্র সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিলে কোনো বিরোধ থাকবে না।”

‎ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়