হাতিয়ার ঘাটে শ্রমিকদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে পণ্য উঠানো নামানোর কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাটে বিআইডব্লিটিএ’র পন্টুনের ওপর এ মানববন্ধন করা হয়।

এ সময় শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান ঘাট-নলচিরা নৌপথে চলাচলকারী এস.টি. সৈবাল সি-ট্রাকের মাস্টার (চালক) আফজাল হোসেন সব সময় পন্টুনের সাথে সি-ট্রাক রাখেন। এতে পণ্যবাহী নৌকাগুলোতে পণ্য উঠানোর সময় এবং নামানোর সময় শ্রমিকদের অনেক অসুবিধা হয়। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটে।

শ্রমিকদের দাবি, যাত্রী উঠানোর সময় এবং নামানোর সময় ছাড়া সি-ট্রাক পন্টুন থেকে দূরে নোঙ্গর করে রাখলে কারো কোনো সমস্যা হয় না। বিষয়টি সি-ট্রাকের চালক আফজাল হোসেনকে বুঝিয়ে বলা হলেও তিনি অলস সময়ে টি-ট্রাক পন্টুনের বাইরে রাখতে রাজি নন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা বলেন, সি-ট্রাক পন্টুনে এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফাঁকে গিয়ে থাকতে পারে। আবার যাওয়ার সময় পন্টুনে এসে যাত্রী উঠাতে পারে। সি-ট্রাকের প্রতি আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। আমরা শুধু আফজাল মাস্টার যে অনিয়মগুলা করে এটার জন্যে আমরা প্রতিকার চাই। আমাদের দাবি হলেো, পন্টুনটা খালি রাখা। তাহলে আমরা মাল লোড আনলোড করতে কোনো প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয় না।

পরে একই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান ঘাটের ইজারাদার আমিনুল ইসলাম মতিন। তিনি বলেন, সি-ট্রাক এখানে আসবে, যাত্রী নামাবে, যাত্রী উঠাবে। অলস সময়ে নদীতে নোঙর করে থাকবে, এটাই নিয়ম। এ নিয়মটা বাস্তবায়ের জন্যে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের সাথে সি-ট্রাকের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। ব্যক্তি আফজাল মাস্টারের সাথে দ্বন্দ্ব। সে সত্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রতিনিয়িত আমাদের বিরুদ্ধে, আমার বিরুদ্ধে প্রেপাগান্ডা করতেছে। আমরা ন্যায়সঙ্গত দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে আফজাল হোসেন জানান, নদীতে সি-ট্রাক নোঙ্গর করা অনিরাপদ। তাই ঘাটে পন্টুনের সাথে রাখেন তিনি।