প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২০:১৪
হাসপাতাল সম্পর্কিত সনাক ও এসিজির পর্যবেক্ষণসমূহ পর্যায়ক্রমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে
---------------ডা. একেএম মাহাবুবুর রহমান

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর ২০২৫) সচেতন নাগরিক কমিটি -সনাক, চাঁদপুর ও এসিজি গ্রুপের সাথে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সেবা নিশ্চিতকরণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করণীয় ও আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাকের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহাবুবুর রহমান।
|আরো খবর
সভাপতির বক্তব্যে সনাকের সাবেক সভাপতি ও সদস্য কাজী শাহাদাত বলেন, ২০০৫ সাল থেকে সনাক এই হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে কাজ করছে। বিগতদিনেও আমরা হাসপাতালের বেশ কিছু সমস্যা উত্থাপন করেছি। ইতোমধ্যে বেশ ক'টি সমস্যার সমাধানও হয়েছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোরও সমাধান হবে। রোগীদের চাহিদা ও প্রত্যাশার শেষ নেই। আমরা লক্ষ্য করছি, হাসপাতালের সেবার মানের অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক খুবই আন্তরিকতার সাথে হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি হাসপাতালের ওয়েব পোর্টাল, ঔষধের তালিকা, সিটিজেন চার্টার আপডেট করার আহ্বান জানান। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্যে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
টিআইবির এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মো. মাসুদ রানার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী, সনাক সদস্য মোহাম্মদ আসিফ-উল-ইসলাম, এসিজির সহ-সমন্বয়কারী আশিক বিন রহিম ও গাজী মো. মুসা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সনাক সদস্য পাপড়ি বর্মণ, মো. খোরশেদ আলম পাটওয়ারী কাঞ্চন, রুমা সরকার, নার্সিং সুপারভাইজার মাকসুদা আক্তার, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নূরুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর, এসিজি সদস্য আয়েশা আক্তার রুপা, সুমি আক্তার, মো. আল-আমিন হোসাইন, সুলতানা আক্তার, ইয়েস দলনেতা অভি লোধ, সহ-দলনেতা দিগন্ত ঘোষ আকাশ, জান্নাতুল ফেরদাউ প্রমুখ। হাসপাতালে সেবাদাতাগণের সময়ানুবর্তিতা, প্রত্যাশিত জনবল নিশ্চিতকরণ/Available doctors and Nurse against sanctioned post দৈনিক ঔষধ সরবরাহের তালিকার আধুনিকায়ন ও হালনাগাদকরণ, হাসপাতালের ওয়েব পোর্টাল হালনাগাদকরণ, সেবা প্রদানে আন্তরিকতা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, চাহিদার তুলনায় ঔষধের অপর্যাপ্ততা, হুইল চেয়ার ও ট্রলির স্বল্পতা, জনগণের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা না নেয়া, জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে তথ্য প্রদান, খাবারের মান, হাসপাতালের সিটিজেন চার্টার হালনাগাদকরণ, তথ্যের উন্মুক্ত প্রকাশ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।








