বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:০১

চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে

নামেমাত্র অভিযান

সোহাঈদ খান জিয়া।।
চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে

ঝিমিয়ে পড়েছে চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম।আগের মতো মাদক উদ্ধারে নেই তেমন তোড়জোড়। নামেমাত্র অভিযান করা হয়।

জানা যায়, চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম

অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। পূর্বে তাদের কার্যক্রমে অনেক গতিশীলতা থাকলেও এখন আর নেই বললেই চলে। নামেমাত্র অভিযান করে থাকেন তারা। আগে তারা নিজেরা অভিযানে এককভাবে গেলেও বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ অভিযান করে থাকে। তাদেরকে একক অভিযান করতে এখন আর দেখা যায় না। পূর্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিজেরা এককভাবে অভিযান করতে চলে যেতো। এতে প্রচুর মাদক উদ্ধারসহ ব্যবসায়ী ও সেবনকারী আটক হতো। এখন সেই চিত্র খুব একটা কম।

পূর্বের তুলনায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর সংখ্যা বেশি হলেও অভিযানে চলে এসেছে শিথিলতা। এ দপ্তরের কাজ হচ্ছে শুধু মাদক নিয়ে। কিন্তু তাদের কাজ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

নামেমাত্র অভিযান করে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি বেতন ভোগ করছেন পুরোটাই।

চাঁদপুর সদর উপজেলাসহ জেলার সর্বত্র ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকে সয়লাব হয়ে গেলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তেমন কার্যক্রম নেই বললে ভুল হবে না। শহরের পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে গ্রামের হাটবাজার, রাস্তার পাশে হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়। এক কথায় মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে চাঁদপুর।

একটি সূত্র জানায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে অনেকে মাদক বিক্রি করে আসছে। ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। কিন্তু এখন

মাদকের বাড়ি চাঁদপুর বলা চলে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঝিমিয়ে পড়ার কারণে চাঁদপুরের মাদক ব্যবসায়ীরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাচ্ছে। পাশাপাশি অসাধু কিছু কর্মকর্তা লাভবান হচ্ছে। অপরদিকে তদারকি না করার কারণে হাজীগঞ্জে লাইসেন্সকৃত মদের কাউন্টারে অনিয়ম করে মদ বিক্রি করা হচ্ছে। শুক্রবার মদের দোকান বন্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। কিশোরদের নিকট মদ বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও তাও মানছে না তারা। তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা খাম পেয়ে থাকেন বলে অনিয়ম নিয়মে পরিণত হচ্ছে।

অপর একটি সূত্র জানায়, এ দপ্তরে কয়েকজন কর্মচারী ও কর্মকর্তা একই স্থানে দীর্ঘদিন বহাল তবিয়তে থাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। তাদেরকে ম্যানেজ করেই মাদক ব্যবসায়ীরা আরাম আয়েশে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ব্যবসা করে আসছে। আর মাদকের ছোবলে উঠতি বয়সী যুবক ও কিশোররা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক'জন সচেতন ব্যক্তি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকের বিরুদ্ধে আগে যে রকম অভিযান করতো, এখন তেমন একটা করে না। আগে দেখতাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান করে যে পরিমাণ মাদক ব্যবসায়ী আটক করতো, এখন তা হয় না। এখন হাত বাড়ালেই সহজে মাদক পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি। আপনি অফিসে আসেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়