প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫, ২২:১৯
মতলব উত্তরে অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

মতলব উত্তরে মামলার সাক্ষী হওয়ায় বুধবার (১৮ জুন ২০২৫) দুপুরে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন ২০২৫) বিকেলে উপজেলার জহিরাবাদে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই এলাকার নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এ ঘটনায় জহিরাবাদ গ্রামের আব্দুল হাই বকাউলের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
|আরো খবর
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মিজানুর রহমানের জেঠাতো ভাই ইমরান হোসেনের সাথে স্থানীয় মান্নান খান, মো. ইব্রাহিম খান ও রাহাত খান গংয়ের জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধে মামলা চলে আসছিল। ওই মামলায় ইমরান হোসেন বিজ্ঞ আদালতের রায় পান। ওই রায়ের প্রেক্ষিতে এক শতাংশ ভূমি নামজারি করার জন্যে উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন। পরে গত ১৮ জুন শুনানি গেলে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে বাদী পক্ষের ওপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মান্নান খানের ছেলে মো. ইব্রাহিম খান, রাহাত খান, রামদাসপুর গ্রামের মিন্টু মাঝি দৌলত ঢালীসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন মিলে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় বাদী মিজানুর রহমানকে মারধর করলে গুরুতর আহত হন। এছাড়াও রফিক সরকার ও ইমরান হোসেনও আহত হয়েছেন। পরে তারা পুলিশের সহায়তায় বাড়ি পৌঁছান। পরদিন বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, মান্নান খান ও তার ছেলেরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে রফিক সরদার ও আসলাম সরকারকেও তারা মারধর করে। আমাদেরকে মেরে ফেলবে বলে তারা বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা এখন প্রাণনাশের ভয়ে আছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ইমরান হোসেন বলেন, আমি ৮ শতাংশ জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা করেছি। ওই মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে ভুলবশত নামজারি হয় ৭ শতাংশ। পরে এক শতাংশ নামজারি করার আবেদন করলে ১৮ জুন শুনানিতে আমাদের পক্ষে রায় দেন এসি ল্যান্ড। এর রেশ ধরে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে আমাদের ওপর হামলা করে তারা।
মানববন্ধনকারী রফিক সরদার, আসলাম সরদার, শাহিনা বেগম বলেন, মান্নান খান ও তার ছেলেরা এতো বছর আওয়ামী লীগের সাথে রাজনীতি করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। তাদের সেই অত্যাচার আর বন্ধ হয়নি। তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। গ্রামে আমার ওপর সন্ত্রাসী করে, আবার উপজেলায় গিয়েও আমাদেরকে ভাড়া করা লোক দিয়ে মারপিট করে। আমরা এলাকাবাসী তাদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।