প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫, ২২:১৩
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই'র চুরি হওয়া অস্ত্র ঢাকা থেকে উদ্ধার
চোর সুমন ও অস্ত্র ক্রেতা রুবেল আটক

অবশেষে দীর্ঘ ১২ দিন পর ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তথা চাঁদপুর জেলা পুলিশের রুদ্ধশ্বাস অবস্থার অবসান ঘটলো। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের এসআই রকিব উদ্দিনের চেহারার দিকে তাকানো যেতো না। রাজ্যের অন্ধকার ছিল তার চোখেমুখে। যদিও মুখ ফুটে কাউকেই তিনি কিছু বলেননি। অবশেষে তিনি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। উদ্ধার হলো তার ভাড়া বাসা থেকে চুরি হওয়া ৯ এমএম পিস্তল (বাট নং-০৫৮৮৫৬), ম্যাগজিন ও ১৬ রাউন্ড গুলি। গত ৫ মে তার থানার দুশ' গজ দূরের ভাড়া বাসা থেকে চুরি হয় এই অস্ত্র ও গুলি।
টানা অনুসন্ধান শেষে ১৬ মে ২০২৫ (শুক্রবার) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর শাহআলী থানা এলাকার তুরাগ সিটি বস্তিতে অভিযান চালিয়ে মূল চোর সুমনকে গ্রেফতার করে ডিএমপি, ডিবি ও চাঁদপুর জেলা পুলিশের একটি যৌথ টিম। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন চুরির বিষয়টি স্বীকার করে এবং জানায়, পিস্তলটি সে বরগুনা জেলার এক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করেছে। পরবর্তীতে সেই তথ্যের ভিত্তিতে বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পিস্তল ক্রেতা রুবেল খানকে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত চোর সুমন (৩৫) ঝালকাঠি জেলার নেছারাবাদ উপজেলার পশ্চিম সোহাগদল ইউনিয়নের মৃত জালাল উদ্দিন মাঝির ছেলে। পিস্তল ক্রেতা রুবেল খান (৩৬) বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার উত্তর ভোড়া ইউনিয়নের মৃত আজিজ খানের ছেলে। তারা দুজনই রাজধানীর মিরপুর-১ শাহআলী থানা এলাকার তুরাগ সিটি বস্তিতে বসবাস করছিলো।
শুক্রবার (১৬ মে ২০২৫) রাতে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ আলম।
জানা গেছে, গত ৫ মে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. রাকিব উদ্দিন ভূঞার ভাড়া বাসা থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল ম্যাগজিন ও ১৬ রাউন্ড গুলি চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এসআই রকিব উদ্দিন সাময়িক বরখাস্ত হন। পুলিশ ওইদিনের সিসি ক্যামেরা চেক করে সন্দেহভাজন দুজনকে চিহ্নিত করে। এদের ধরিয়ে দিতে ওসি লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণাও করেন। অবশেষে চুরি হওয়ার ১২ দিন পর অস্ত্র উদ্ধার ও চোর আটক হলো।