প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫, ২৩:০৩
ইচলীতে বসতবাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট

চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইচলী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মান্নান সড়কে বেপারী বাড়ির দু' পরিবারের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পর পর তিনবার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। সন্ত্রাসী হামলা করে কুপিয়ে একই পরিবারের ৫জনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
|আরো খবর
এ ঘটনায় আহত ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিভাবক বাবুল বেপারী (৬৫) জানান,
পার্শ্ববর্তী বাড়ির মোহাম্মদ বেপারীর ছেলে একটি ধর্ষণ মামলায় দীর্ঘ প্রায় এক বছর জেল খাটে। এ ঘটনায় সে আমাকে এবং আমার পরিবারকে দায়ী করে মামলা প্রত্যাহার এবং নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি ওর কথায় কোনো ধরনের কর্ণপাত না করায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মোহাম্মদ বেপারীর ৩ ছেলে যথাক্রমে আমিন বেপারী (২২), সোহেল বেপারী (২০), রাব্বী বেপারী (১৮) ও নাতি সিয়ামসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সকাল ১১টার দিকে প্রথমে বাবুল বেপারীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাবুল বেপারীর বসতঘর ভাংচুর করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাবুল বেপারীর বসতঘরটি লুটপাট করে আসবাবপত্র নিয়ে যায়।
এ ঘটনা দেখে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে ঘটনাস্থলে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে পুলিশ গেলে সন্ত্রাসীরা আরো উত্তেজিত হয়ে এসে বাবুল বেপারীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি ভাংচুর করে এবং পুরো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি লুটপাট করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এ সময় বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাবুল বেপারীর স্ত্রী হাসিনা বেগম, দুই ছেলে যথাক্রমে হাবিবুর রহমান ও মাহমুদুল হাসান এবং ছেলের বউ মারিয়া বেগমকে মারাত্মক জখম করে।
এদিকে এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, উক্ত ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও পুলিশের নীরব ভূমিকায় সকলে হতবাক হয়ে যান।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে আসা হলে আহতরা সিএনজি থেকে নামার পরপরই সোহেল বেপারীর নেতৃত্বে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আহতদের ওপর পুনরায় হামলা চালায়।
এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত আনসার সদস্য ও হাসপাতালের স্টাফদের সহযোগিতায় আহতরা রক্ষা পায়। পরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনা লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাহার মিয়া বলেন, খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পরপর দুটি টিম পাঠানো হয়েছে। তিনি এর বেশি কিছু বলতে পারেননি।