সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২১:০৮

বালিথুবায় মহিলা দলের সমাবেশে বক্তারা

এমএ হান্নানই ফরিদগঞ্জে বিএনপির মনোনয়নের দাবিদার

এমরান হোসেন লিটন।।
এমএ হান্নানই ফরিদগঞ্জে বিএনপির মনোনয়নের দাবিদার

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার একমাত্র দাবিদার আলহাজ্ব এমএ হান্নান। কারণ, এমএ হান্নান গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ফরিদগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আনাচে কানাচে বিএনপির ব্যানারে তাঁর সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। তিনি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরে একটি করে মোট ১৬টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ করে দেন। সেগুলোও তিনি একমাত্র বিএনপির ব্যানারেই করেছিলেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েকশ' কিলোমিটার পাকা রাস্তা তাঁর সহযোগিতায় করা হয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গরিব অসহায় পরিবারের মেয়েদের বিবাহে সহযোগিতা করা, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গরিব অসহায়দের মধ্যে অসংখ্য লোকের জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসায় সহযোগিতা করা, ঈদের সময় ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা, করোনাকালীন সময়ে অসহায়দের সহযোগিতা করা, বিভিন্ন দুর্যোগের সময় সহযোগিতা করা এবং শেখ হাসিনার আমলে শত শত মামলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মামলার খরচ পরিচালনা করাসহ অসংখ্য সামাজিক কর্মকাণ্ড আছে যা তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ব্যানারে করেছিলেন। যার কারণে ফরিদগঞ্জ থেকে এমএ হান্নান বিএনপির নমিনেশন পাওয়ার দাবিদার।

রোববার (৯ নভেম্বর ২০২৫) ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং বালিথুবা ইউনিয়নের মদনেরগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মহিলা সমাবেশে উপস্থিত উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপরোল্লিখিত কথাগুলো বলেন।

সমাবেশটি সফল করার লক্ষ্যে প্রধান দিকনির্দেশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ১নং বালিথুবা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম কাঞ্চন মুন্সী। অনুষ্ঠানটির সার্বিক দিক দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন মোল্লা। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন পাটোয়ারী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট সার্জারি চিকিৎসক ডা. আবুল কালাম আজাদ, আবু জাফর খসরু মোল্লা, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান পাটোয়ারীসহ অনেকে।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ খান, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, ৪নং ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল সবুজ পাটোয়ারী, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আবু সালেহ কবিরাজ, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রেবেকা সুলতানা, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাওন চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শাহ আলম হাওলাদার, সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান বেপারী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, শ্রমিক দলের সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আহাদ বেপারী, ছাত্রদলের সভাপতি মাঈনুদ্দিন জনি। ইউনিয়ন মহিলা নেত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেসমিন আক্তার, খালেদা আক্তার, মিনু আক্তার, নার্গিস আক্তার, মুন্নি আক্তার শাহনাজসহ পাঁচ শতাধিক মহিলা কর্মী। এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকল মহিলাকে এমএ হান্নানের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে একটি করে কাপড় দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব এমএ হান্নানের একমাত্র পুত্র সন্তান মো. আব্দুল্লাহ। এ সময় মো. আব্দুল্লাহ বিএনপির নীতি নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তার পিতা আলহাজ্ব এমএ হান্নান বিএনপির ব্যানারে গত ২০ বছরের উপরে রাজনীতি করে যাচ্ছেন এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। এই দলের রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি জেল খেটেছেন, ব্যবসায়িকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই আমার বাবাকে ফরিদগঞ্জ থেকে বিএনপির মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়