রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১০

ইউপি সদস্য যদি এমন কাজ করে!

অনলাইন ডেস্ক
ইউপি সদস্য যদি এমন কাজ করে!

মতলব উত্তর উপজেলায় দোকানে চোরাই মোবাইল ফোন রাখার অভিযোগে মো. মহসীন আহাম্মেদ (৫৬) নামে এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর ২০২৫) রাতে সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পাঠান বাজারের একটি মোবাইল ফোনের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক মহসীন আহাম্মেদ উপজেলা সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঠান বাজার আবেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থিত ‘রাজু টেলিকম’ দোকানে অভিযান চালিয়ে সাতটি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনগুলোর মধ্যে Samsung, Vivo, Realmemnসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড রয়েছে। কয়েকটি ফোনের IMEI নম্বর মিললেও একটি মোবাইলের IMEI নম্বর মুছে ফেলা ছিলো বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, দোকানের ভেতর থেকে উদ্ধার করা মোবাইলগুলো প্রাথমিকভাবে চোরাই বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় ৪১৩/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে আটক ইউপি সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি চোরাই মোবাইল ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া অত্যন্ত দুঃখজনক। আইন সবার জন্যে সমান। কোনো পদ-পদবি দেখে ছাড় দেওয়া হবে না। চোরাই মালামালের উৎসসহ পুরো চক্রকে চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে। জাগো নিউজ থেকে পাওয়া এ সংবাদটি গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে ছাপা হয়েছে। সংবাদটি পড়ে পাঠকমাত্রই বিস্মিত হয়েছে। চেহারায় ধোপদুরস্ত, বিশেষ করে শ্মশ্রূমণ্ডিত একজন ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) হয়েও ভদ্রোচিত ব্যবসার আড়ালে চোরাই মোবাইল ফোনের ব্যবসা করতে পারে-সেটা কি ভাবা যায়? ছদ্মবেশে সমাজে মানুষ যে কতো খারাপ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে, এ সংবাদটি পড়ে সেটিই মনে হলো। মতলব উত্তর থানা পুলিশ এমন একজন বর্ণচোরা মানুষকে ধরতে পারাটা কম সাফল্যের নয়। এজন্যে তাদের সাধুবাদ জানাতেই হয়। আমাদের দেশের সকল থানার পুলিশ মোবাইল চোর ধরতে পারঙ্গম নয়। এই পারঙ্গমতা অর্জন যদি পরিপূর্ণ হতো, তাহলে মোবাইল ফোন চুরিটা অনেক কমে যেতো। আমরা পুলিশ অফিসার মাত্রকেই এই পারঙ্গমতা অর্জনের প্রশিক্ষণ গ্রহণটাকে বাধ্যতামূলক করে দেয়ার জন্যে পুলিশ হেড কোয়ার্টারকে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণের বিষয়টিতে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি। মনে রাখতে হবে, পুলিশকে পূর্ণ আপডেট করার ক্ষেত্রে এটি সমকালীন চাহিদা পূরণের অন্যতম পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়