শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫  |   ৩৩ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৫, ২১:৩৩

রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণই ইসলাম

মাও. মো. মোশাররফ হোসাইন
রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণই ইসলাম

ইসলাম হচ্ছে ওহী বিশিষ্ট সুশৃঙ্খলিত এবং আদর্শিক ধর্ম। পবিত্র কুরআন এবং রাসূলের জীবনাদর্শ (হাদীস ও সুন্নাহ) এই দুই মিলিয়েই হচ্ছে পরিপূর্ণ ইসলাম। পবিত্র কুরআনকে অনুসরণ করতে হলে অবশ্যই রাসূল (সা.) এর জীবনাচরণকে নিজের জীবনে প্রতিফলিত করাতে হবে। রাসুলুল্লাহর পরিপূর্ণ জীবনাচরণই হচ্ছে ইসলামের মডেল। রাসুলুল্লাহর (সা.) ভালোবাসা এবং জীবনাদর্শ ব্যতীত কোনো মুসলিম দাবিদার পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। কেউ নিজেকে মুসলিম দাবি করে ইসলামের আচার অনুষ্ঠান পালন করতে চাইলে ; অবশ্যই তার ইবাদত ও আমলে রাসুলুল্লাহর নির্দেশিকা থাকতে হবে। রাসূল (সা.) যা যা তাঁর উম্মতের জন্য নির্দেশ এবং নিষেধ করে গেছেন; তা ব্যতিরেকে কেউ নতুন কিছু (সওয়াবের আশায়) পালন করলে তা কখনোই আল্লাহ মেনে নিবেন না। এটাই বিদআত। আল্লাহ্ সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে বলেন, “রাসূল তোমাদের যা দেন তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক।” (সুরা হাশর ৭) রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর জীবনে যা যা তাঁর সাহাবীদের (রা.) করতে বলেছেন এবং যা যা করতে নিষেধ করেছেন তা আমাদের মেনে চলতে হবে। আর রাসূলকে মেনে চলাটাই হচ্ছে সম্পূর্ণ ইসলাম। যারা রাসূলকে আদর্শরূপে গ্রহণ করতে পারবে তারাই হচ্ছে আল্লাহর পরীক্ষায় কৃতকার্য। আল্লাহ বলেন, “আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য।”(সুরা নুর ৫২) এই আয়াতে সুন্দরভাবে বলা হয়েছে, আল্লাহ এবং রাসূলের (সা.) আনুগত্য তথা অনুসরণ যারা করবে তারাই আল্লাহর কাছে কৃতকার্য।

আল্লাহর বানী পবিত্র কুরআনের পর, ইসলামে অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয় একমাত্র ব্যক্তি হচ্ছে রাসূল (সা.)। সুতরাং আমরা যা-ই ইসলামের নামে পালন করি না কেন, তা রাসূলের আদর্শে সমর্থিত হতে হবে। আল্লাহ বলেন, ” নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহর জীবনের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ; যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে এবং আল্লাহকে বেশি স্মরণ করে।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ২১) অর্থাৎ আমাদেরকে ইবাদত, আমল এবং জীবনযাপনে পরিপূর্ণভাবে রাসূলকে অনুসরণ করতে হবে। আমাদের ইবাদতসমূহ যদি রাসূলের (সা.) সহীহ্ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত না হয়, তবে তা কখনোই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। রাসূলের সহীহ্ সুন্নাহ ছাড়া নিজের খেয়াল-খুশি (প্রবৃত্তির অনুসরণ) বা অন্যের অনুসরণ অথবা পূর্বপুরুষদের অনুসরণ কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না। এমন করলে সেটা হবে প্রবৃত্তির অনুসরণ। আল্লাহ বলেন, অতঃপর তারা যদি (হে রাসূল) আপনার কথায় সাড়া না দেয়, তবে জানবেন, তারা শুধু নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহর হেদায়েতের পরিবর্তে যে ব্যক্তি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার চাইতে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না। [সুরা কাসাস: ৫০]

সুতরাং এই আয়াতে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, রাসূলের নির্দেশিত পথ ছাড়া নিজের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করা যাবে না। যে-ই নিজের খেয়াল-খুশির তথা প্রবৃত্তির অনুসরণ করবে সে ই হবে পথভ্রষ্ট। আল্লাহ্ কখনোই জালেমকে সঠিক পথ দেখান না। আর সকল পথভ্রষ্টের শেষ ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। সেইসাথে আল্লাহকে ভালোবাসা ছাড়া কেউ কখনোই ঈমানদার হতে পারে না। আর আল্লাহর ভালোবাসা পেতে হলে পূর্বশর্ত হিসাবে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করছেন, ‘(হে রাসূল! আপনি) বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে আমার অনুসরণ কর; তাহলেই আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল দয়ালু।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৩১) এই আয়াতে কত সুন্দর করে আল্লাহ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিচ্ছেন যে, তাঁর ভালোবাসার পূর্বশর্তই হচ্ছে তাঁর রাসূলকে অনুসরণ। প্রতিটি মুসলিমের জীবন হতে হবে রাসূলের অনুসরণে তাঁর আদর্শে পরিপূর্ণ। হোক সেটা ইবাদত, আমল কিংবা দৈনন্দিন জীবনযাপন। সুতরাং রাসূলের অনুসরণ বিহীন জীবন সেটা মরুভূমির ন্যায়। যে ব্যক্তির জীবনে রাসূলের অনুসরণ নেই সে ব্যক্তি কখনোই ঈমানদার হতে পারে না। সুতরাং নিজেদের মুসলিম দাবি করলে অবশ্যই আমাদের জীবনযাপনে রাসূলের ভালোবাসা ও তাঁর কর্মকাণ্ডের ছায়া থাকতে হবে। যারা নিজেদের জীবনে রাসূল (সা.) কে প্রাধান্য দিতে পেরেছেন তারাই সত্যিকারের প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে।

নবীজির জীবনাদর্শ অনুসরণ করার কারণ : মানুষ মাত্রই অনুকরণ প্রিয়। তাই কথা, কাজ, চলাফেরায়, এমনকি পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রেও একজন মানুষ তার প্রিয় ব্যক্তিত্বের কাউকে অনুসরণ করতে পছন্দ করেন। প্রত্যেকেই কাউকে না কাউকে অনুসরণ করে চলেন। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপই হয় কারও না কারও অনুসরণ-অনুকরণে। সুন্দর-সুশৃঙ্খল এবং পরিপাটি জীবনাচার, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একজন অনুসরণীয় শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যে কথা প্রায় ১৪০০ বছর আগে পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে (জীবনীতে) তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব ২১)

ঐতিহাসিক মাইকেল এইচ হার্টের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘দ্য হান্ড্রেড’ থেকে একটি উদ্বৃতি উল্লেখ করছি। যেখানে পৃথিবীখ্যাত একশ মনীষীর জীবনী আলোচিত হয়েছে। তবে আশ্চর্য হলো যে, সর্বপ্রথম উল্লিখিত নামটি ছিল আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর। তার মতে, ‘মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি ধর্ম ও রাষ্ট্র উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক সফল ছিলেন।’ জর্জ বার্নার্ড শো আরও সুন্দর করে বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, মুহাম্মদ (সা.)-এর মতো কেউ যদি গোটা বিশ্বের শাসনভার পরিচালনা করেন, তবে পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’ শুধু এখানেই শেষ নয়! আল্লাহতায়ালা আমাদের নবীজিকে প্রেরণ করেছিলেন গোটা বিশ্বের জন্য। মনোনীত করেছিলেন রহমত হিসেবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি বিশ্বজগতের রহমতস্বরূপ।’ (সুরা আম্বিয়া ১০৭)

কাজেই এ কথা বলার সুযোগ নেই যে, নবী মুহাম্মদ (সা.) শুধু আরব ভূখণ্ডের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। বরং গোটা জগতের জন্য তিনি হলেন রহমতস্বরূপ। এমনকি মুফাসসিরদের মতে অমুসলিমদের জন্যও তিনি রহমতস্বরূপ। আর নবী মুহাম্মদ (সা.) এর স্বভাব ও চারিত্রিক সনদ আল্লাহতায়ালা এভাবে দিয়েছেন, ‘আর আপনি হলেন মহান চরিত্রের অধিকারী।’ (সুরা কলম ৪) নবীজির জীবনাদর্শ গ্রহণ করা কেন জরুরি? এ কথাটি আমরা একটি হাদিসের আলোকে তোলে ধরছি। ইরবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসুল (সা.) আমাদের এমন ওয়াজ করলেন যে, তাতে আমাদের অন্তরসমূহ ভীত-সন্ত্রস্ত হলো, চোখগুলো অশ্রুসিক্ত হলো। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! মনে হচ্ছে এটি কোনো বিদায়ী নসিহত। তাই আমাদের কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি, তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির, শাসক বা নেতার কথা শোনা এবং তার আনুগত্য করার। যদিও একজন ক্রীতদাস তোমাদের নেতৃত্ব দেয়। নিঃসন্দেহে তোমাদের মধ্যে হতে যে আমার পর জীবিত থাকবে, অচিরেই সে অনেক মতভেদ দেখতে পাবে। (সে সময়) তোমাদের ওপর আবশ্যক হলো, আমার সুন্নত ও সুপথপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নতকে আঁকড়ে ধরা। তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরবে। দ্বীনের মধ্যে বিদআত থেকে তোমরা সাবধান হবে। কেননা প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।’

‘তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরবে।’ ইসলামি স্কলাররা বলেন, এ কথার অর্থ হলো, নবীজির সুন্নতকে তোমরা আঁকড়ে ধরবে। সুন্নত নিয়ে গবেষণা করবে। সুন্নত তথা নববী আদর্শ অনুযায়ী সর্বদা আমল করবে। সুন্নতের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে, যাতে এই সুন্নতগুলো হারিয়ে বা নষ্ট না হয়ে যায়।

মহানবী (সা.)-এর আর্দশ অনুসরণ কেন প্রয়োজন : সব বিষয়ে মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ জরুরি-এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনের পাশাপাশি হাদিসেও অসংখ্য নির্দেশনা এসেছে। এখানে এ বিষয়ে কয়েকটি হাদিস বর্ণনা করা হলোÑমহানবী (সা.)-এর আনুগত্যের প্রতিদান জান্নাত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী ব্যক্তি (আবা) ছাড়া আমার উম্মতের সবাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী কে? তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল সে জান্নাতে প্রবেশ করল, আর যে আমার অবাধ্যতা করল সেই ‘আবা’ বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী। (বুখারি, হাদিস : ৭২৮০) রাসুলুল্লাহ (সা.) হক ও বাতিলের মানদণ্ড। হাদিস শরিফে এসেছে যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ (সা.)-এর আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে তাঁর অবাধ্যতা করল, সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। মুহাম্মাদ (সা.) হলেন লোকদের মধ্যে হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী মানদণ্ড। (বুখারি, হাদিস : ৭২৮১)

কিয়ামতের আগে হাদিস অস্বীকারকারীদের ফিতনা দেখা দেবে মর্মে হাদিসে ইঙ্গিত আছে। আবু রাফে (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের কাউকে তার নকশাখচিত খাটে হেলান দেওয়া অবস্থায় পাব; তার কাছে যখন এমন কোনো বিষয় আসবে যে ব্যাপারে আমি (সুনির্দিষ্ট) নির্দেশনা প্রদান করেছি অথবা তা করতে আমি নিষেধ করেছি, তখন সে বলে, (এত কিছু) আমি জানি না, আমি যা কিছু আল্লাহর কিতাবে পেয়েছি তারই অনুসরণ করব। এ ছাড়া অন্য কিছু অনুসরণ করব না। (তিরমিজি, হাদিস : ২৬৬৩) শুধু কোরআন মানা যথেষ্ট নয়।

মিকদাম বিন মাদিকারিব (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, জেনে রাখো! আমি কোরআনপ্রাপ্ত হয়েছি ও তার ন্যায় আরেকটি বস্তু। সাবধান! এমন একটি সময় আসছে, যখন বিলাসী মানুষ তার গদিতে বসে বলবে, তোমাদের জন্য এ কোরআনই যথেষ্ট। সেখানে যা হালাল পাবে, তাকেই হালাল জানবে এবং সেখানে যা হারাম পাবে, তাকেই হারাম জানবে। যদিও আল্লাহর রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই পরিমাণই হারাম করেছেন, যেই পরিমাণ আল্লাহ হারাম করেছেন। সাবধান! তোমাদের জন্য গৃহপালিত গাধা বৈধ নয়, প্রত্যেক নখওয়ালা হিংস্র প্রাণীও নয়, অঙ্গীকারবদ্ধ কাফিরের কুড়িয়ে পাওয়া হারানো বস্তুও নয়, তবে মালিক যদি তা প্রয়োজন মনে না করে। কেউ যদি কোনো জাতির কাছে অতিথি হিসেবে অবতরণ করে, তাহলে তাদের উচিত তার আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা। আর যদি তারা তাকে আপ্যায়ন না করে, তাহলে সে তার আতিথেয়তার মতো তাদের কাছে থেকে বদলা নেবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬০৪) নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতের জন্য দুটি বস্তু রেখে গেছেন : কোরআন ও সুন্নাহ। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি তোমাদের মধ্যে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যত দিন তোমরা এ দুটিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থাকবে, তত দিন পথভ্রষ্ট হবে না। তা হলো আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নত। হাউজে কাউসারে আমার কাছে উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত এ দুটি কখনো পৃথক হবে না। (মুয়াত্তা মালেক, হাদিস : ৩৩৩৮)। (চলবে)

[মুহাদ্দিস, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা, খতীব কালেক্টরেট জামে মসজিদ, চাঁদপুর, পিএইচডি গবেষক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়