রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ০৮:৪২

শততম সংখ্যায় লেখকদের প্রতি ভালোবাসা-কৃতজ্ঞতা

জমির হোসেন
শততম সংখ্যায় লেখকদের প্রতি ভালোবাসা-কৃতজ্ঞতা

১. জীবন চলমান ট্রেন

যাত্রার অভিন্ন সাথী। বিরামহীন চলছে এবং চলবে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। এভাবেই চলবে জীবনের অসমাপ্ত কাজগুলো। সময় থাক না অনুকূলে কিংবা প্রতিকূলে। অবস্থান ভেদ করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ন্যূনতম চেষ্টাটুকু অব্যাহত থাকে জীবনে। আবেগ- বিবেকের মাঝে ফারাক আকাশ-পাতাল। নিশ্চয়ই আবেগে পড়ে কোনো কাজ করলে তা ভুল হবার সম্ভাবনা শতভাগ। বিশেষ করে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সব সময় বিবেক দিয়ে করা সমীচীন। তাহলে কারো প্রতি জুলুমের আশঙ্কা থাকে না। ‘প্রবাসীকণ্ঠ’ তারই এক দৃষ্টান্ত, যে যথাসময়ে প্রবাসীদের অজানা কথা তুলে ধরে।

২. ‘প্রবাসীকণ্ঠে’র শততম সংখ্যার অনুভূতি--

ঞরসব হবাবৎ নব ভৎরবহফ ধহুনড়ফু, রঃ রিষষ নব ঢ়ৎবংবহঃ ধহফ রহ ভঁঃঁৎব ধষধিুং ংধসব. এই বাস্তবতাকে আমাদের মানতেই হবে। প্রবাদ বাক্যও তা-ই বলে-- সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। তাই সময়ের কাজ সময়ই সেরে ফেলা উচিত। আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে চাঁদপুর জেলার সর্বাধিক পঠিত দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ‘প্রবাসীকণ্ঠে’র বিভাগীয় পাতার দায়িত্ব নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলাম। হাঁটি হাঁটি পা পা করে কবে কখন যেন ১০০ তম সংখ্যা পাঠকের মাঝে এলো। ভাবতেই অবাক। এভাবে সময় দৌড়াতে পারে! আমার প্রতিটি সময়ে এতো ব্যস্ত থাকতে হয়। এর মধ্যে কর্ম, পরিবার নিত্যদিনের সঙ্গী। তাছাড়া সামাজিকতা, শিক্ষার মতো আরও অনেক কাজ চলমান দিনের মধ্যে বিদ্যমান। এ রকম একটি ব্যস্ততার মাঝে সাংবাদিকতা করতে হয়, লেখালেখি করতে হয় শুধুমাত্র অভ্যাসের কারণে। প্রায় দু যুগের পুরানো অভ্যাস। তাই একাধিকবার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও লেখালেখির জগত ছাড়তে পারিনি। শরীরে ঝোঁকের মত মিশে আছে রক্তের সাথে। অনেক ব্যস্তততার মাঝে দেরি হলেও ‘প্রবাসীকণ্ঠে’র শততম সংখ্যা আমাকে ভীষণ আনন্দ দেয়। এ যেন বিষণ্নতার মাঝে আনন্দ উচ্ছ্বাস। একশ’তম সংখ্যা কোনোভাবেই আমার কাছে কম নয়। তাই অনুভূতির মাত্রাও অনেক বেশি এবং কল্পনাতীত।

এই ক’দিন আগে অর্থাৎ ১৭ জুন পালিত হলো দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জেলার সর্বাধিক পাঠকপ্রিয় পত্রিকাটি ৩২ বছরের পথচলা শুরু করলো। আর আমার তাদের সাথে পথচলার প্রায় দু যুগ। এই দু যুগের পথচলায় নিয়মিত একজন লেখক হিসেবে এখনও কলম অব্যাহত। সুখেদুঃখে তাদের পরিবারের একজন নগণ্য সদস্য। আগামীর পথচলারও সাথী হতে চাই।

৩. শততম সংখ্যা পর্যন্ত প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিকদের অবদান অনস্বীকার্য।

যে কোনো কাজ একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এই বাস্তবতা আমাদের কম-বেশি সবার জানা আছে। তাই সমন্বয়ের ছোঁয়াতে যে কোনো কঠিন কাজ হয়ে উঠে আরও সহজ, ‘প্রবাসীকণ্ঠে’র সূচনাতে সেই আশানুরূপ ফলাফল পাই বিভিন্ন দেশের প্রবাসী সাংবাদিক ও লেখকদের কাছ থেকে। এই শততম সংখ্যার সাফল্যের বিশেষ অংশীদার তাঁরা। তাঁদের লেখা দিয়ে ‘প্রবাসীকণ্ঠ’ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছে গেছে। শুধু প্রিন্ট সংস্করণ নয়, একই দিনে অনলাইনে ভার্সনে ‘প্রবাসীকণ্ঠ’ নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে।

‘প্রবাসীকণ্ঠে’র নিয়মিত লেখকদের সম্মাননা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে ইতোমধ্যে পত্রিকার প্রধান সম্পাদক জনাব কাজী শাহাদাতের সাথে আলোচনা হয়েছে। আশা করি এটা খুব শীঘ্রই বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। একশ’তম সংখ্যা পর্যন্ত যেসব লেখক ও সাংবাদিকের বেশি সহযোগিতা প্রবাসীকণ্ঠ পেয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন : সুইডেন প্রবাসী লেখক ও গবেষক রহমান মৃধা, লন্ডন থেকে কবি, কলামিস্ট ও সাংবাদিক ড. আজিজুল আম্বিয়া, আমেরিকা থেকে হাকিকুল ইসলাম খোকন, মিশর থেকে সাংবাদিক ও লেখক আফছার হোসাইন, স্পেন থেকে সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান, সৌদি আরব থেকে জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, মালয়েশিয়া থেকে আহমাদুল কবির, জার্মানি থেকে হাবিবুল্লাহ বাহার প্রমুখ। আরও অনেক দেশ থেকে অনেকে সংবাদ পাঠিয়েছেন। তাঁদের প্রতি ‘প্রবাসীকণ্ঠ’ ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। আশা করি এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে প্রিয় প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত সাহেবের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তাঁর নির্ভুল সম্পাদনা শেষে ‘প্রবাসীকণ্ঠ’ পাঠকদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যে। সকল পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে ‘প্রবাসীকণ্ঠ’ বিভাগীয় সম্পাদক চির কৃতজ্ঞ।

জমির হোসেন : প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ও বিভাগীয় সম্পাদক, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়