সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ২২:১৪

সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা পুলিশ হেফাজতে!

শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির মামলার পর উত্তরা থেকে থানায় নেওয়া হয়

মো. জাকির হোসেন
সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা পুলিশ হেফাজতে!
সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অবস্থানকালে স্থানীয় জনতা তাকে ঘিরে ফেলে। পরে উত্তরা পশ্চিম থানার একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতার কাছ থেকে সাবেক সিইসিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে আমরা জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় নিয়ে এসেছি।” তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে একটি মামলা শেরেবাংলা নগর থানায় রয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপি একই দিন সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে, যেখানে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘অবৈধ’ এবং ‘জনগণের মতের বিরুদ্ধে পরিচালিত’ বলে অভিযোগ করা হয়।

মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ মোট ১৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বিএনপির অভিযোগে বলা হয়েছে, “এই নির্বাচন কমিশনগুলো সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামতের অপব্যাখ্যা করেছে।” এতে সংবিধান লঙ্ঘনের কথাও উল্লেখ রয়েছে।

মামলায় আরও বলা হয়, “২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল ‘একতরফা’, ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল ‘সাজানো’, আর ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, “সাবেক সিইসিকে আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হেফাজতে নিয়েছি। মামলার তদন্ত ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে কে এম নুরুল হুদা এখনো গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আমলেই ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা ব্যাপক বিতর্কিত হয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁকে থানায় রাখা হয়েছে এবং পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো চার্জ গঠন হয়নি।

আপডেট: মামলার তদন্ত ও আদালত কার্যক্রমের পরবর্তী খবর জানার জন্য চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়