রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ১১:০২

মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীন বরণ

আফছার হোসাইন, মিশর থেকে
মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীন বরণ

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ মিশরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর অঙ্গ সংগঠন ‘আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আয়োজন করলো বাৎসরিক ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীন বরণ অনুষ্ঠান ।

শনিবার সন্ধ্যায় মিশরের রাজধানী কায়রোর আল-সফা মিলনায়তনে সোহাইটির সভাপতি মো. শিহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানটি নবাগত শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন মিলন মেলায় পরিণত হয়।

তাওহিদুল ইসলাম, সফিউল্লাহ ও আবরার ফাহিমের সঞ্চালনায় সভাপতি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।

অনুষ্ঠানে আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনায় উন্নতি ও পদ্ধতি শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন মুহিব্বুর রহমান মাসুম। তিনি আল-আযহারের পাঠক্রম পঠন পদ্ধতি ও ক্যারিয়ার পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবভিত্তিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ।

পিএইচডি গবেষক আবু আদনান মুহিব্বুর রহমান ‘ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বিষয়টি নতুনভাবে অনুধাবনের জন্যে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় আল-আযহারে সদ্য আগত নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে উপহার স্বরূপ তুলে দেওয়া হয় মূল্যবান বই। এই পর্বে নতুনদের আত্মবিশ্বাস ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো বিশেষ লক্ষণীয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় খেলনা, চকলেট ও ছোট উপহার। শিশুদের উচ্ছ্বাস, কোলাহল ও হাসিমুখ পুরো অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে আয়োজন করা হয় জ্ঞানভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ। নবীন-প্রবীণ সকলে এতে অংশগ্রহণ করেন, যা অনুষ্ঠানে মেধা ও মননের এক দারুণ ছাপ ফেলে।

আযহারের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী মাওলানা আখতার হোসেন তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে ভ্রাতৃত্ব, ত্যাগ ও তাকওয়ার অনুপ্রেরণাদায়ক দিকটি তুলে ধরেন।

উৎসবমুখর, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও শিক্ষামূলক ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীন-বরণ অনুষ্ঠানটিতে কায়রো ও আশেপাশের এলাকা থেকে আগত প্রবাসী ও শিক্ষার্থী মিলিয়ে উপস্থিত ছিলেন পাঁচ শতাধিক অতিথি ।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের জন্যে পরিবেশন করা হয় বাঙালি স্বাদের বিশেষ আপ্যায়ন, কোরবানির গরুর মাংস দিয়ে তৈরি দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়