সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:০৪

মন ভালো রাখতে সম্পর্কের গুরুত্ব

রাসেল হোসেন বাবু

অনলাইন ডেস্ক
মন ভালো রাখতে সম্পর্কের গুরুত্ব

যার যত বেশি মানুষের সাথে সংযোগ যে যত বেশি মানুষের সাথে মেলামেশা করে। যার যত বেশি বন্ধু-বান্ধব আমার মতে সেটা কিন্তু আমাদের ভালো থাকার অন্যতম নির্ধারক হিসেবে কাজ করে না। আমাদের প্রত্যেকেরই কোয়ালিটি রিলেশনশিপ থাকাটা দরকার অর্থাৎ কোয়ালিটি রিলেশনশিপ বলতে বুঝাতে চাচ্ছি আপনার যদি এ ধরনের বন্ধু-বান্ধব থাকে, যার সাথে আপনি যেকোনো সময় যেতে পারেন। আপনি যেভাবে আছেন, সেভাবেই সে আপনাকে একসেপ্ট করে। যার কাছে ঠিক খুব একটা আড়াল করার প্রয়োজন নেই। যার কাছে আপনি মনের সব কথা বলতে পারেন। এমনকি খুব প্রিভিয়াল আজকে কি করছেন, আজকে কি খেয়েছেন একদম খুব সিম্পল। অথবা আপনার কোন একটা ক্রাইসিস যাচ্ছে বা আপনার কোন একটা ব্যাপার নিয়ে খুব কষ্টে আছেন। সেটা আপনি এমন কিছু মানুষ আছে যাদের সাথে আপনি এক্সপ্রেস করতে বা শেয়ার করতে পারেন এটা একটা বিরাট এসেট।

আমাদের ভালো থাকা এবং আমাদের ভালো প্রটেক্ট করার অন্যতম বিষয় হলো আমাদের এই কোয়ালিটি রিলেশনশিপ। শুধুমাত্র আমাদের ক্রাইসিস টাইমে যে আমাকে মনের ভার লাঘব করে আমাকে যে সাহায্য করে তা না, ক্রাইসিসটা অনেক ক্ষেত্রে হয় যে আপনার কথা শুনলো, আপনাকে কেয়ার করল, এটা অনেক ক্ষেত্রে হয় কি আমাদের তখন সেলফ স্টিমটাও বুষ্টাপ হয়।

যখন আমরা খুব ক্রাইসিসের মধ্যে থাকি কিংবা খারাপ টাইম এর মধ্যে দিয়ে যাই তখন কিন্তু আমাদের মনটাও খুব ছোট হয়ে যায়। মনে হয় যে আমি বোধ হয় ব্যর্থ। আমার বোধহয় সমস্যা। কিন্তু আমার বন্ধু আমার কথাটা খুব কেয়ার নিয়ে শুনলো এবং আমাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করল। এটা আমাদের বিরাট রকমের হেল্প করে। এছাড়াও কিছু মানুষ আছে, যার কাছে আপনি যখন তখন মনে যে নানা রকম চাপ হয় এটা যে লাঘব করা। এটাকে রিলিজ করার যে জায়গা রয়েছে সেটা আমাদের জন্য খুবই হেল্পফুল। কাজেই এ সম্পর্ক গুলো যদি না থাকে আপনার ক্রাইসিসের জায়গা তখন ক্রাইসিস মোমেন্টগুলো যেতে পারবে না।

আপনার অনেকের সাথে কিন্তু যোগাযোগ আছে। এমন কোন মানুষ নেই, যার কাছে আপনার সেই মনের কষ্টের জায়গা আপনার পেইনটা শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও বন্ধু-বান্ধব আসলে কি, যে আমাকে সময় দেয়, আমাকে কেয়ার করে, এটা কিন্তু আসলে আমাদের নিজেদের যোগ্যতাটাকে রিফ্লেক্ট করে। আরেকজন হয়তো তার কষ্টের কথাটা আমার কাছে শেয়ার করেছে। এটাও কিন্তু আমাকে ফিল করায় যে, সে বিশ্বাস আছে আরেকজনের কাছে। আমি সে বিশ্বাসের যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি বলেই তার ভিতরে কথাটা আমাকে সে বলতে পারলো। সম্পর্কের মধ্যে যেটা ওপেন রিলেশনশিপ যেখানে আমরা আমাদেরকে খোলামেলাভাবে প্রকাশ করতে পারি। এই সম্পর্কগুলো কিন্তু বিশ্বাসের জায়গাটা বাড়তে সাহায্য করে এবং মন ভালো রাখার অন্যতম জায়গা কিন্তু আত্মবিশ্বাস। যে যত আত্মবিশ্বাসী, যে যত আমাদের নিজেদের স্ট্রেংথ অর্থাৎ আমাদের যে সক্ষমতার জায়গা,গুলো বা পজেটিভ জায়গায়গুলো আছে, সেটা যত বেশি করে জানবো ততো কিন্তু আমাদের মানসিকভাবে ভালো থাকতে সাহায্য করে। এটা আমাদের এক ধরনের এনারজাইজ করে এবং সামনে এগোতেও আমাদেরকে জীবনের ছোট খাটো জিনিসগুলো মোকাবেলা করার যে সক্ষমতা সে মানসিক সক্ষমতাটাও কিন্তু বাড়িয়ে তোলে। এক ধরনের অদ্ভুত নিরাপত্তা বোধ তৈরি করে। কাজেই আমাদের প্রত্যেকেরই এরকম একজন হলেও বন্ধু রাখা অতিভ জরুরী। যার কাছে আপনি আপনার মনের কথা শেয়ার করতে পারেন। আসলে এরকম কোয়ালিটি ফুল রিলেশনশিপ খুঁজে পাওয়াটা দুষ্কর। সে ক্ষেত্রে আমার অভিমত থাকবে আপনি যত মানুষের সাথে মিশবেন কানেকশন থাকবে সোশ্যালাইজেশন থাকবে তত আপনি সিলেক্ট করতে পারবেন। কার আপনার মনের সাথে মিল আছে, কে আপনাকে একসেপ্ট করতে পারে। আপনি যার কাছে আস্থা পান, সেরকম মানুষ গুলোকে আইডেন্টিফাই করা। মানুষের সাথে সংশ্লিষ্টতা এবং আমাদের পজিটিভ জায়গাগুলো সেটা কিন্তু আমাদের ক্রাইসিস মোমেন্টে সাহায্য করে। দেখা যায় আবেগটা প্রকাশ করার জন্য একটা ক্ষেত্র তৈরি করে,৷ দিন শেষে একটু ভালো থাকার জন্য মানুষের লাইফে এমন কোয়ালিটি ফুল রিলেশনশিপ খুব প্রয়োজন।

লেখক : রাসেল হোসেন বাবু, ইউনিভার্সিটি অফ জিওমেটিকা মালয়েশিয়া

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়