প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩৪
রায়পুরে পৃথক দু শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার, ধর্ষক পলাতক।। ইসলামি নেতার ঘটনা মীমাংসা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পৃথক দু শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এক শিশুর ঘটনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের রায়পুর থানা শাখার সভাপতি মাঈনুদ্দিন (৩০)কে আটক করা হলেও অভিভাবকের সাথে মীমাংসা হলে রাত দুটায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপর শিশুর ঘটনার মামলায় তাজল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন।
পৃথক দুই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫) চরআবাবিল ইউনিয়নের ক্যাম্পেরহাট গ্রামে এবং জালিয়ারচর গ্রামের জজের বাড়ির সামনের এক বসতঘরে।
এক শিশুর মা তাজল ইসলাম নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। অন্য শিশুর ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, চরআবাবিল ইউনিয়নের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের জালিয়ারচর গ্রামের তাজল ইসলাম (৪৫) তার প্রতিবেশী মেয়ে (৭) শিশুকে টাকার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। অসুস্থ আহত শিশু বাড়িতে গিয়ে তাদের মায়ের নিকট বিষয়টি জানায়। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকাবাসী ওই ব্যক্তিকে ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনা উল্লেখ করে এক শিশুর মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় মেয়ের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে মামলা করেন। ঘটনার ওই ব্যক্তি পলাতক।
অপরদিকে মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পেরহাট এলাকায় মক্তবে আরবি পড়া শেষে সকল শিশুকে ছুটি দিয়ে এক শিশুকে (৯) যৌন নিপীড়ন করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের রায়পুর থানা শাখার সভাপতি মাঈনুদ্দিন (৩০)। এ ঘটনায় মেয়েটি তার বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে জানালে মা মসজিদের সামনে গিয়ে মাইনুদ্দিনকে জুতাপেটা করে। পরে এলাকাবাসী মাঈনুদ্দিন কে হায়দরগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। সন্ধ্যায় অভিযুক্ত মাইনুদ্দিনসহ শিশু ও তার পরিবারকে থানায় নিয়ে আসা হয়। অবশেষে রাত ১টায় ইসলামি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও শিশুর পরিবারের সাথে সমঝোতা হওয়ায় তা মীমাংসা করে দেয়া হয়। এ বিষয়ে মাঈনুদ্দিন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভুইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা উল্লেখ করে হায়দরগঞ্জ বাজারের এক শিশুর মা তাজল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ক্যাম্পেরহাট এলাকার ঘটনা ইসলামি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও শিশুর পরিবার সমঝোতা হয়েছে।