প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ২০:৫৯
চাঁদপুর জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন
সারের মজুদ সংকট এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রি রোধে নজরদারি রাখতে হবে

চাঁদপুর জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
|আরো খবর
সভায় চাহিদা অনুযায়ী সার বরাদ্দ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, সার সংকট থাকলে এ সমস্যা থেকে উত্তরণে করণীয়, সার ডিলারদের তথ্য হালনাগাদ, সারের মজুদ, সার ও বীজ প্রাপ্তি এবং বিতরণ, প্রকৃত কৃষকের মাঝে ব্যাংক ঋণ বিতরণ, কৃষি জমি নষ্ট না করা, জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করাসহ সামনের কৃষি মৌসুমে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা প্রশাসনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। কেউ যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্যে সার ব্যবসায়ীদের সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। সভায় তিনি জানান, সারে কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। সারের মজুদ, সংকট, অতিরিক্তি দামে বিক্রি কেউ যেনো করতে না পারে এবং ভেজাল সার-বীজ ও কীটনাশকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। কোনো কারণে সারের মজুদ, সংকট সৃষ্টি এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রি না করতে পারে এ ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। ডিলার ব্যতীত সাব ডিলার যেনো সার বিক্রি না করে। জমি যার হোক, কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না, বাধা দিতে হবে। যে সমস্ত জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকে, ওই জমিকে কৃষি আবাদের আওতায় আনতে হবে। প্রকৃত কৃষককে ব্যাংকের ঋণ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করতে হবে। রাসায়নিক সারের প্রবণতা কমিয়ে জৈব সার ব্যবহারে এবং উৎপাদনে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রতি মাসে উপজেলা সার্ভিস মনিটরিং সভা নিয়মিত করতে হবে।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের। শুরুতে তিনি বিগত সভার কার্যবিবরণী তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এরশাদ উদ্দিন, বিএফএ চাঁদপুর সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. আশ্রাফুল হক, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত, শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিয়া হোসেন, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি, মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া, চাঁদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন রায়, মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ, হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিব আব্দুল্লাহ, শাহারাস্তি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার, মতলব দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চৈতন্য পাল, হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকার, কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন, বিএসএ চাঁদপুর কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন।
বর্তমান মজুদের চিত্র :
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের জানান, বর্তমানে জেলায় ২ হাজার ২৯ মেট্রিক টন ইউরিয়া, ২৬৭ মেট্রিক টন টিএসপি, ৪২২ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ২৩৭ মেট্রিক টন এমওপি সার মজুদ রয়েছে।
এছাড়া বীজ প্রাপ্তি ১৩৪ কেজি, গিমা কলমি ১৩০ কেজি।