প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৩৫
মৃত শিশুর গোসলে দেখা গেলো আঘাতের চিহ্ন, আটক সৎ মা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সুমাইয়া আক্তার (৩) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ শিশুটির সৎ মাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
|আরো খবর
রোববার (১০ আগস্ট ২০২৫) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের নুরবক্স চাপরাশি বাড়ির থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমাইয়া একই বাড়ির সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমদের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়া তার সৎ মা শিউলি আক্তারের সাথে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) দুপুরের দিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শিউলি তার সৎ মেয়ে শিশু সুমাইয়াকে মারধর করে। এরপর তাকে গোসল করিয়ে ঘুম পাড়ায়। এরপর বিকেলের দিকে ঘুমানো অবস্থায় শিশুটিকে মৃত পায় তার সৎ মা। পরে বিষয়টি তিনি তার প্রবাসী স্বামীকে জানায়। পরবর্তীতে বাসায় ডাক্তার নিয়ে আসা হয়। তখন ডাক্তার জানান, শিশুটি আরো আগে মারা গেছে। প্রবাসী স্বামীর পরামর্শে সৎ মা একই দিন রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে সুমাইয়ার মরদেহ দাফনের জন্যে স্বামীর গ্রামের বাড়ি উপজেলার খানপুর গ্রামে নিয়ে যান। পরের দিন (রোববার) সকালে শিশুটির মরদেহ গোসল দেওয়ার সময় তার কানে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। তাৎক্ষণিক তারা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানায়। বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ সুমাইয়াকে তার সৎ মা মেরে ফেলেছে বলে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মৃত শিশুর গলায় ও ডান কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এক কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত সৎ মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।