প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ২২:০২
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে গোমর ফাঁস
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের দোকানে প্রতারণা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

রোববার (২৯ জুন ২০২৫) বিকেলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গেটের পাশে ন্যায্যমূল্যের ঔষধ বিক্রির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক অভিযানে প্রতারণা ধরা পড়েছে।
|আরো খবর
জানা যায়,
রোগীরা ভরসা করে যান দোকানটিতে, কারণ সেখানে সরকার নির্ধারিত দামে ওষুধ পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবটা তার উল্টো।
ওই দোকানের মালিক রামু দত্ত দীর্ঘদিন ধরে অসহায় রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। সরকারের নির্দেশ, ১৬.৫১ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ বিক্রি করতে হবে। কিন্তু তিনি করছিলেন তার উল্টোটা। প্রতিটি ওষুধে নিচ্ছিলেন বেশি দাম! শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ও সরকারি বরাদ্দের ওষুধও বিক্রি হচ্ছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। এজন্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাকে বারবার গুণতে হয় জরিমানা।
এ দোকানটিতে সেলিম গাজী নামে একজন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য গিয়েছিলেন ‘সাইনোভিয়া’ ইনজেকশন কিনতে। অন্য দোকানে যার দাম মাত্র ১০ টাকা, সেই ইনজেকশন রামু দত্ত চাইছিলেন ২৫ টাকা।
এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই সেলিম গাজীর সঙ্গে হয় তুমুল বাদানুবাদ। আর সেখান থেকেই ঘটনার হয় নাটকীয় মোড়। সেলিম গাজী সরাসরি অভিযোগ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরানের কাছে।
তিনি সঙ্গে সঙ্গেই অভিযানে নামেন। দোকানে গিয়ে সত্যতা পান সব অভিযোগের। অতিরিক্ত দামের জন্যে জরিমানা করা হয় চার হাজার টাকা।
জানা যায়, এই দোকানটিতে বহুদিন ধরে ন্যায্যমূল্যের নামে অতিরিক্ত মূল্যে ঔষধ বিক্রি হবার অভিযোগ থাকলেও হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই রামু দত্ত রাখছিলেন এই দোকানের নিয়ন্ত্রণ। বিদায়ী ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে শাসক দলের কিছু নেতার আশীর্বাদে রামু দত্ত ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। দীর্ঘদিন এই দোকান নিজ আয়ত্তে রেখে গরীব রোগীদের সাথে প্রতারণা করে অন্যায্য মূল্যে ঔষধ বিক্রি করে তিনি হয়ে যান আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।