প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ১৩:৫৫
বাবুরহাট বাজারে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি

চাঁদপুর শহরের প্রসিদ্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিরাট ব্যবসাকেন্দ্র বাবুরহাট বাজার।
বাজারটিতে মশার উপদ্রব মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে মশার আনাগোনা বেড়ে যায়।একেকটি মশা অনেক বড়ো আকারের। মশার উপদ্রবে মশাবাহিত রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মশার কামড়ে অনেকে আতঙ্ক প্রকাশ করছেন এজন্যে যে, যেহেতু বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছে। মশাজনিত আতঙ্কের মাঝে বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও জন সাধারণ সহ বাজারে আবাসিকভাবে রাত্রি যাপনকারীরা প্রমাদ গুণছেন।
বাবুরহাট বাজারে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হলো
কালক্রমে বাজারটির অপরিকল্পিত পরিধি বেড়ে যাওয়া। এক প্রকার নাজুক বিশৃঙ্খলাপূর্ণ সৃষ্টি হয়েছে বাজারে । বাজারের আকর্ষণীয় সুন্দর পরিবেশ নেই বললেই চলে। আধুনিকতার ছোঁয়া তো দূরের কথা।
বিরাট বাজারটিতে নেই কোনো স্থায়ী ডাস্টবিনের
ব্যবস্থা। নামেই শুধু চাঁদপুর পৌরসভায় অবস্থিত। চাঁদপুর শহরের বেশি লোকসমাগম হওয়া বাজার বলতেই বাবুরহাট বাজারকে ধরা যায়।
প্রতিদিনের বাজারের ময়লা আবর্জনার স্তূপ, আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই সামান্য হওয়ায় বাজারের পরিবেশ বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে।
বাজারে গরু ও মুরগি জবাই করার পর যে রক্ত জমে থাকে, তা ড্রেনেই আবদ্ধ হয়ে থাকে।
এদিকে মৌসুমি ফল বিক্রিতাদের পচে যাওয়া ফল ড্রেনে ফেলে দেয়ার কারণে ড্রেনে পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। ড্রেন থেকে বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ । ফলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।
বাজারের ২৪ ঘন্টার ময়লা আবর্জনা স্তূপ প্রতিদিন ভোরে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃক পরিষ্কার করা হলেও সারাদিনের নোংরা-আবর্জনা স্তূপাকারে জমে থাকার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভুক্তভোগী বাজার ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রয়োজনে বাজারে আগত ক্রেতা সাধারণ, বাজারের বাসা-বাড়িতে রাত্রিযাপনকারী মানুষ, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন।