শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৪:৩২

রাশিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত: ৪৯ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

সাইবেরিয়ার আমুর অঞ্চলে দুর্ঘটনার শিকার সোভিয়েত যুগের অ্যান-২৪ বিমান

বিশেষ সংবাদদাতা: মো. জাকির হোসেন
রাশিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত: ৪৯ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত: ৪৯ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা ফার ইস্ট অঞ্চলের আমুর প্রদেশের টিন্ডা শহরের নিকটবর্তী পর্বত অঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় ৪৯ জন আরোহী নিয়ে বিমানটি বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে।

দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি ছিল সোভিয়েত আমলের Antonov An-24 মডেলের। এটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়ার Angara Airlines। বিমানটি খাবারোভস্ক থেকে ব্লাগোভেশচেনস্ক হয়ে টিন্ডা যাচ্ছিল।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যাওয়ার পর পর্বতের গায়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া ফিউজলেজ দেখা গেছে। জরুরি বিভাগের হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবিতে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।

বিমানটিতে ছিল ৪৩ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু সদস্য। যাত্রীদের মধ্যে ৫ জন শিশু ছিল বলে জানা গেছে। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কোনো জীবিতের সন্ধান এখনও মেলেনি

রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়া ও দৃশ্যমানতার ঘাটতি ছিল দুর্ঘটনার সময়। বিমানের ক্রু দ্বিতীয়বার অবতরণ করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিমানটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ এটি প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো একটি বিমান। যদিও এর ফ্লাইট সার্টিফিকেট ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বৈধ ছিল, তারপরও এর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার নিয়ে তদন্তকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

উদ্ধার অভিযানে অন্তত ৪টি হেলিকপ্টার, ২৫ জনের বেশি উদ্ধারকর্মী এবং ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।

রাশিয়ার তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে এবং যান্ত্রিক ত্রুটি, মানবিক ভুল কিংবা নিরাপত্তা ত্রুটির দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনাটি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে পুরোনো বিমানের ব্যবহার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে এমন বিমান নিষিদ্ধ করা জরুরি।

ডিসিকে/এমজেডএইচ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়