সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০০:৪৬

খণ্ডে খণ্ডে অখণ্ড জীবন

পীযূষ কান্তি বড়ুয়া
খণ্ডে খণ্ডে অখণ্ড জীবন

(চুয়াল্লিশতম পর্ব)

অযাচক আশ্রম ও চরিত্র গঠন আন্দোলন

আমার খণ্ডে খণ্ডে অখণ্ড জীবনের এক কোণায় জড়িয়ে আছেন ‘খণ্ড আজিকে হোক অখণ্ড অণু-পরমাণু মিলিত হোক’ গানের অমর স্রষ্টা, চঁাদপুরের নাড়িকাটা ধন, দার্শনিক ও মানবতাবাদী মহাপুরুষ শ্রী শ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব। তঁাকে কেবল অযাচক আশ্রমে সীমাবদ্ধ করে রাখলে তঁার কর্ম ও সৃষ্টির প্রতি সুবিচার করা হবে না। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন। তঁার অমর বাণীমালার একটি হচ্ছে, তুমি কতটুকু হিন্দু কতটুকু মুসলিম কতটুকু বৌদ্ধ কতটুকু খ্রিস্টান তা আমি জানতে চাই না। আমি জানতে চাই তুমি কতটুকু মানুষ।’ তঁার এই অমর কথামৃতকে সামনে রেখেই এগিয়ে গেছে অযাচক আশ্রমের জন্ম ও কর্মকাণ্ড। এটি এমন এক প্রতিষ্ঠান, যা কারও কাছ থেকে যাচ্ঞা করে কিছু নেয় না। ভক্ত ও অনুসারী নিজ আগ্রহে কিছু দান করলে তা-ই তারা গ্রহণ করে। স্বামী স্বরূপানন্দ কোনো নিছক ধর্মধারী নন, তিনি একজন খঁাটি দেশপ্রেমিক, যিনি তরুণদের মধ্যে মা-রূপী দেশের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলেছিলেন এবং চরিত্র গঠনের অংশ হিসেবে খেলাধুলা ও শরীর চর্চাকে প্রাধান্য দিয়ে জাতি গঠনে সুস্থ-সবল তরুণদের এগিয়ে আসার প্রেরণা দিয়েছিলেন। আত্মিক জাগরণে স্বরূপানন্দ সাহিত্য ও স্বরূপানন্দ সংগীতও তিনি সৃষ্টি করে গেছেন, যা এখনও মানুষকে ঐক্যের বারতা দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে।

চঁাদপুরের পুরাণ আদালত পাড়ায় স্বামী স্বরূপানন্দের জন্মভিটায় গড়ে ওঠা অযাচক আশ্রমের মূল কারিগর কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারী। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে, অনেক জল-জলা মাড়িয়ে তিনি স্বামী স্বরূপানন্দের পিতৃভিটা পুনরুদ্ধার করে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। বরিশাল বিভাগে বাড়ি বলেই কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারী দৈনিক চঁাদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত ভাইকে দুলাভাই বলে ডাকতেন। তঁার এ ডাকে প্রগাঢ় আন্তরিকতা ছিলো। দুলাভাই ডাকার কারণ হলো কাজী শাহাদাত ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িও একই বিভাগে, তাই। তঁাদের এই সম্পর্কের উষ্ণতা পরিচিত মহলে বিদিত ছিলো। কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারী যেমন নাছোড়বান্দা সংগঠক, তেমনি কাজী শাহাদাত ভাইও তঁার চেয়ে দু ডিগ্রি বেশি। ফলে এ দুয়ের সমন্বয়ে উদ্দিষ্ট কর্মকাণ্ড বেগবতী তটিনীর চেয়েও খরস্রোতা হয়ে চললো।

স্বামী স্বরূপানন্দের এক অনন্য কর্মসূচি ছিলো চরিত্রগঠন আন্দোলন। তরুণদের জাতিগঠনে ও দেশের স্বাধীনতা অর্জনে সংশ্লিষ্ট করতে তিনি ঊনিশশো চৌদ্দ সালের এক জানুয়ারি চঁাদপুর শহরের অদূরে ঘোড়ামারা মাঠে সূচনা করেন চরিত্র গঠন আন্দোলনের, যার ইংরেজি নাম মর‍্যালিটি ক্যাম্পেইন। এ আন্দোলনটি সূচিত হয় তঁার কয়েকজন খেলার সাথি ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে। কালক্রমে সে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে উপমহাদেশজুড়ে। দুহাজার চৌদ্দ সালের এক জানুয়ারি স্বামী স্বরূপানন্দের চরিত্রগঠন আন্দোলনের শতবর্ষ পূর্তি। অত্যন্ত জঁাকজমকের সাথে এ শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজন করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে চরিত্রগঠন আন্দোলনের কমিটি গঠন করার প্রয়োজন হয়। কাজী শাহাদাত ভাইয়ের পরামর্শে আমাকে চরিত্র গঠন আন্দোলনের আহ্বায়ক মনোনীত করা হয় এবং রাজন চন্দ্র দে-কে সদস্য সচিব বানানো হয়। তার আগের বছর সাহিত্য একাডেমি, চঁাদপুরের মিলনায়তনে এক জানুয়ারি বিকেলে চরিত্রগঠন আন্দোলন দিবসে এক আলোচনা সভায় আমি আমন্ত্রিত হই বক্তা হিসেবে। কিছু বলার জন্যে স্বামী স্বরূপানন্দ বিষয়ে জানার আগ্রহ তৈরি হয়। জানতে জানতে এক পর্যায়ে আমার মনে হলো, তিনি এক বিশুদ্ধ মানুষ ছিলেন, যঁার লক্ষ্য ছিলো প্রজন্মের আত্মিক ও নৈতিক উন্নয়ন। এ কারণেই তিনি অভিক্ষা মন্ত্রের দীক্ষাদাতা। সেদিন তঁার একটা বাণী দিয়েই আমার বক্তব্য শেষ করি। তঁার সেই অমৃত বাণীটি হলো ‘ আবার আসিব আবার হাসিব/ আবার গাহিব গান/ শুধু বলিবারে পরহিত তরে/ নিজেরে করগো দান।’ নিজেকে পরার্থে বিলিয়ে দেওয়ার এ মর্মবাণী মর্মে ধারণ করেই আমি চরিত্রগঠন আন্দোলনের সাথে যুক্ত হই। চরিত্রগঠন আন্দোলনের শতবর্ষ উদযাপন কল্পে একটি সার্বিক কমিটি হয়, যাতে জেলা প্রশাসক ও তৎকালীন মেয়র মহোদয় উপদেষ্টা হিসেবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এ অনুষ্ঠান উদযাপনযজ্ঞে কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারী ও কাজী শাহাদাত ভাইয়ের যুগলবন্দি ছিলো অনেকটা পার্থ ও পার্থ সারথির মতো। শতবর্ষ উদযাপনের জন্যে একটা স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারীর আগ্রহে আমি এর নাম দেই ‘শতাঘর্য’ শিরোনামে। সম্পাদকও ছিলাম আমি। এ নামকরণের ভিত্তি ছিলো শতবর্ষ পূর্তির অঘর্য হিসেবে। যদিও এ স্মরণিকার কলেবর বড়ো ছিলো না, তবুও এর বিস্তারণ ছিলো বেশি। সুখরঞ্জন মহোদয়ের তৎপরতায় এটি পেঁৗছে যায় ভারতবর্ষসহ পাশ্চাত্যের বেশ ক’টি দেশে।

দুহাজার চৌদ্দ সালের পয়লা জানুয়ারি

চরিত্রগঠন আন্দোলনের শতবর্ষ উদযাপনের র‍্যালিটি সকাল আটটায় শুরু হয়। একশো বছর আগে যেখানে এর জন্ম হয়েছিলো, একশো বছর পর সেখানেই এর উদযাপনী র‍্যালিটি আয়োজিত হয়। তৎকালীন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র সূত্রধর এবং মেয়র মহোদয় মিলে র‍্যালি উদ্বোধন করেন। একশো বছর আগের ঘোড়ামারার মাঠ বর্তমানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থান। অত ভেতরের এলাকা থেকে মূল সড়কে আসতে হলে বেশ কিছুটা পথ হঁাটতে হয়। সে সময় মতলবের সমবায় কর্মকর্তা দুলাল বাবু আমাকে তার মোটর সাইকেলে চেম্বার অবধি এগিয়ে দিয়ে আমার আয়াস লাঘব করেন। সান্ধ্যকালীন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। এতে সভাপ্রধান ছিলেন জেলা প্রশাসক ইসমাইল হোসেন এবং প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান। সুভাষ সিংহ ছিলেন প্রধান বক্তা। চঁাদপুরসহ সারাদেশের অখণ্ডমণ্ডলীর সদস্যদের অংশগ্রহণে শিল্পকলা মিলনায়তন ক্ষুদ্র পরিসরে পরিণত হয়ে যায়। অনেকেই তাই বাইরের বারান্দাতেও অবস্থান করছিলেন। শতবর্ষ উদযাপনের আয়োজনটি সফল হওয়ায় সবার মনে স্বস্তি বজায় থাকে।

শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় প্রজন্ম বিনির্মাণের এ মানবহিতৈষী আন্দোলনকে পেঁৗছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘স্বামী স্বরূপানন্দের চরিত্রগঠন আন্দোলন’ বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতেও শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ আমাদের মনে আশার দীপালি জ্বালিয়ে যায়। কাজী শাহাদাত ভাইয়ের দূরর্শিতায় এবং রাজন চন্দ্র দে’র সক্রিয়তায় আমরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরিত্রগঠন আন্দোলন বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাই। এর মূল লক্ষ্য ছিলো আজকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরিত্র গঠন আন্দোলনের ইতিহাস ও উদ্দেশ্যকে সঞ্চারিত করা, যাতে তারা নিজেদের জীবনে যেমন এর প্রতিফলন ঘটাতে পারে, তেমনি তাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্যেও আলোকবর্তিকা হয়ে উঠতে পারে। স্বামী স্বরূপানন্দ চরিত্রগঠনের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, আত্মদোষ অন্বেষণ ও তা অপনোদনের চেষ্টাই হলো চরিত্রগঠন। অনেকেই হয়তো মনে করতে পারেন, যারা চরিত্র গঠন আন্দোলনের সাথে যুক্ত আছেন তাদের অনেকেরই চরিত্রই তো ঠিক নেই। কথাটাকে অবজ্ঞা না করেই বলতে হয়, চরিত্র সর্বাংশে ঠিক থাকলে তো আর চরিত্রগঠন আন্দোলনের প্রশ্ন আসতো না। যারা যুক্ত আছেন বা ছিলেন এ আন্দোলনে, তারা সবাই আত্মদোষ অন্বেষণে আগ্রহী এবং তা অপনোদনে আন্তরিকভাবে প্রয়াসী। তারা কেউ অস্বীকার করেননি যে তাদের দোষ নেই। তবে তারা নিজেদের দোষ বিদূরণে যেমন প্রয়াসী, তেমনি আগামী প্রজন্মকেও দোষমুক্ত চরিত্র বিনির্মাণের উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করে দিতে আগ্রহী। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে কাজেকর্মে সমুন্নত রাখতে চরিত্রগঠন আন্দোলনের কমিটিতে সনাতনী, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জ্ঞানী লোকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে রামপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মাঈনুদ্দীন, রেভারেন্ড মণীন্দ্র বর্মন উল্লেখযোগ্য। সনাতন সম্প্রদায়ের মধ্যে সুভাষ চন্দ্র রায়, তমাল কুমার ঘোষ, তপন সরকার প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ চরিত্রগঠন আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

ক্রমে ক্রমে চরিত্রগঠন আন্দোলন পরিষদ হতে দাবি উঠে, যাতে জাতিসংঘের মাধ্যমে পয়লা জানুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মর‍্যালিটি ক্যাম্পেইন ডে হিসেবে ঘোষণা দেওয়ানো যায়। এ লক্ষ্যে দুহাজার কুড়ি সালের সাত ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টায় চঁাদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির তাপস সরকারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চ আলো করে ছিলেন তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ বরেণ্য শিক্ষাবিদবৃন্দ। এ মঞ্চ থেকেই একটা দিক নির্দেশনা তৈরি হয়, কীভাবে এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সময় ও সুযোগ বুঝে মাননীয় সংসদ সদস্য সংসদে তঁার বক্তব্যে এ বিষয়টি অত্যন্ত কুশলতার সঙ্গে উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, আমাদের সফট স্কিল শেখার জন্যে আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং আমাদের এ মাটিতেই জন্ম হয়েছে স্বামী স্বরূপানন্দের, যিনি একশো বছরেরও আগে আমাদের সফট স্কিল ডেভেলপ করার কথা বলে গেছেন তঁার চরিত্রগঠন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এভাবে চরিত্রগঠন আন্দোলনকে জাতীয় সংসদে তুলে ধরার মাধ্যমে মাননীয় সংসদ সদস্য একে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিস্তারণ করার ক্ষেত্র তৈরি করেন। কিন্তু করোনাকালে কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারীর দৈহিক জীবনাবসানে সেই অগ্রগতি তাতেই স্থবির হয়ে যায়। তবে নিজের ক্ষেত্রে বলতে হয়, তঁার আগ্রহে চরিত্র গঠন আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে জীবনের দীপশিখায় কিছুটা বাড়তি আলোকন প্রাপ্তি হলো। কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারীর স্বপ্ন ছিলো একদিন সারাবিশ্বজুড়েই পয়লা জানুয়ারি আন্তর্জাতিক মর‍্যালিটি ক্যাম্পেইন ডে ঘোষিত হবে। বাঙালি তো অনেক কিছুই করতে সক্ষম হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। যেমন : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিবেকানন্দ যুব দিবস ইত্যাদি।

কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারীর আদরে আশ্রমের লুচি আর ডাল এবং ছানার তরকারি খাওয়ার সুযোগ হয়েছে বেশ কয়েকবার। সবসময়ই মনে হয়েছে এ খাবারগুলো আলাদা এবং অসাধারণ। কখনও রোগী হিসেবে চিকিৎসা নিতে, কখনও অযাচক আশ্রমের আমন্ত্রণলিপির খসড়া তৈরিতে আর কখনও চরিত্রগঠন আন্দোলনের পরিকল্পনা শাণাতে তিনি আমার চেম্বারে বিনা দ্বিধায় আসতেন অবিচল স্নেহে। তঁার প্রীতি ও সৌজন্যবোধে আমাদের পক্ষে চরিত্রগঠন আন্দোলনের সাথে মিশে যাওয়া সম্ভব হয়েছিলো।

তঁার প্রয়াসে আজ চঁাদপুর অযাচক আশ্রম হয়ে উঠেছে অন্যতম অসাম্প্রদায়িক তীর্থ। স্বামী স্বরূপানন্দের চরিত্রগঠন আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সম্প্রীতি ও সৌহাদের্যর যে বীজ কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারী বপন করে গেছেন তা অঙ্কুরিত হয়ে মহীরুহ হয়ে উঠুক কালের পরিক্রমায়। (চলবে)

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়