প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭
গাজী মুনছুর আজিজের নতুন ভ্রমণবই ‘নান্দনিক নেপাল’

বের হয়েছে গাজী মুনছুর আজিজের নতুন ভ্রমণ বই ‘নান্দনিক নেপাল’। প্রকাশ করেছে বেঙ্গলবুকস। প্রচ্ছদ ও বইনকশা করেছেন আজহার ফরহাদ। হিমালয়ের হৃদয়ে বসে থাকা এক অপার্থিব বিস্ময় নেপাল। ছোট্ট এ দেশ যেন প্রকৃতির হাতে লেখা এক কবিতা; যার প্রতিটি ছন্দে আছে তুষারচূড়ার সাদা রূপ, হাজার বছরের ইতিহাস আর মানুষের হাস্যোজ্জ্বল মুখ। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট শুধু এ দেশের গর্ব নয়, পৃথিবীর প্রতিটি অভিযাত্রীর স্বপ্নও; সঙ্গে আরও অনেক পর্বত, যার টানেই প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ এখানে ছুটে আসেন।
বইটিতে নেপালকে দেখা যাবে নানা রূপে; ইতিহাসে, ধর্মে, প্রকৃতি আর মানুষের গল্পে। এখানকার প্রাচীন স্থাপনাগুলো হাজার বছরের হারানো রাজবংশের স্বাক্ষ্য বহন করে; সেইসঙ্গে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন পৃথিবীর এক জীবন্ত চিত্রপট। এসবের কেন্দ্রে আছে থামেল শহর; যেখানে রাত কখনো ঘুমায় না, জীবন কখনো থেমে থাকে না।
প্রতিটি লেখার সঙ্গে পৃষ্ঠাজুড়ে একাধিক রঙিন ছবি আছে। ১১২ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৪২০ টাকা।
লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক গাজী মুনছুর আজিজের বাড়ি চাঁদপুর সদরের নানুপুর গ্রামে। জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনীমহল গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ মুনছুর গাজী, মা মরিয়ম বেগম। তার নেশা ভ্রমণ। ঘুরতে গিয়ে সেখানকার নদীর পানিতে শরীর ভেজানো তার আরেক নেশা। মাঝেমধ্যে বের হন সাইকেল অভিযানে। তার উল্লেখযোগ্য বই : রূপসী বাংলার রূপের খোঁজে; ভ্রমণের দিন; বাংলাদেশ ভ্রমণসঙ্গী; ভুটান দার্জিলিং ও অন্যান্য ভ্রমণ; অনন্য আরব; পজিটিভ বাংলাদেশ; ফাদার মারিনো রিগন; ৭১-এর খণ্ডচিত্র; অজানা অজন্তা; হজ ও ওমরাহ গাইড; পাখির খোঁজে বাংলাজুড়ে। সম্পাদনা করছেন ছড়াবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ঈদ উৎসব’।
এভারেস্টজয়ী প্রয়াত বন্ধু সজল খালেদ স্মরণে প্রতি বছর কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে একক ম্যারাথন করেন। এ ছাড়া সজল স্মরণে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প অভিযান করেছেন তিনি। ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই সবুজ বিশ্ব গড়তে চাই’ স্লোগান নিয়ে এ বছর ১৩ জুন তিনি বেস ক্যাম্প (৫,৩৬৪ মিটার) পৌঁছান। তিনি বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সদস্য। বিভিন্ন ম্যারাথন প্রতিযোগিতা, সাইকেল অভিযানসহ নিয়মিত ভ্রমণ ও অভিযানে বের হন। পরিবেশ সচেতনতায় গাছ লাগানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রমও করে থাকেন।
২০০১ সালে চাঁদপুরে প্রতিষ্ঠা করেন মুনছুর গাজী ফাউন্ডেশন। সংগঠনটির উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি, বই বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, পাঠাগার পরিচালনা, ইলিশ আড্ডাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।








