শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:১৩

দক্ষিণ রুস্তমপুর আইডিয়াল নূরানী হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার বাৎসরিক পুরস্কার বিতরণ ও ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান

মাদ্রাসার মতো দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের খেদমত করার মতো তৌফিক সকলের থাকে না

............ শায়েখ মোল্লা নাজিম উদ্দীন

প্রবীর চক্রবর্তী।।
মাদ্রাসার মতো দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের খেদমত করার মতো তৌফিক সকলের থাকে না

ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ রুস্তমপুর আইডিয়াল নূরানী হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার বাৎসরিক পুরস্কার বিতরণ ও নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর ২০২৫) মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ্ব মহিউদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও বদিউজ্জামালপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. কফিল উদ্দিনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাজী আবদুর রব। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দারুল হুদা মাদ্রাসার মহাপরিচালক শায়েখ মোল্লা নাজিম উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদ্রাসাতুল আবু হুরায়রার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ইতমিনান পাবলিকেশনের মুফতি মূসা খান, পিডাব্লিউডি মসজিদ পল্টন-এর খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন চাঁদপুরী, রূপসা আহমদীয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. শরীফ হোসাইন, ফরিদগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম কচি, মো. নুরুল আলম শাহীন, মো. আবু তাহের ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন।

আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ ক্বারী মো. তাওসিফ ইসলাম।

প্রধান আলোচক শায়েখ মোল্লা নাজিম উদ্দীন বলেন, মাদ্রাসা একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। শুধু মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে প্রতিষ্ঠাতা, মাদ্রাসায় সন্তান ভর্তি করিয়ে অভিভাবক এবং যারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা তথা যারা শিক্ষার্থীদের তালিম দেন, তারা যদি মনে করেন, তাদের কাজ শেষ, তবে তা ভুল। একটি মাদ্রাসা স্থাপন থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে অনেক গুরুদায়িত্ব রয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা তথা পরিচালনাকারীদের এর থেকে লাভের চিন্তা না করে, সমালোচনার দিকে না তাকিয়ে প্রকৃত ইসলামের প্রতিষ্ঠায় এটিকে খেদমত হিসেবে দেখে কাজ করা উচিত। অভিভাবককে মনে রাখতে হবে, আপনার সন্তানকে মাদ্রাসায় পড়াচ্ছেন, এর পিছনে যে অর্থ ব্যয় করবেন, তা যেনো হালাল হয়। মা-বোনরা আপনারা মনে রাখবেন, শুধু ছেলেমেয়েকে মাদ্রাসায় পাঠালেই জান্নাত নিশ্চিত হবে এমনটি ভাববার অবকাশ নেই। আপনি কতোটুকু ইসলাম পালন করছেন, সেটাও দেখার বিষয়। সন্তানকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে আপনি টিকটক, ফেসবুক দেখবেন, পর্দা মানবেন না, নিয়মিত নামাজ আদায় করবেন না, তা হবে না। আপনি নিজে মেনে চলুন, তাহলে আপনার সন্তানও এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে। শিক্ষকরা অবশ্যই এই শিক্ষাদানকে এবাদতের মতো করে চিন্তা করবেন। আপনি যদি এই শিক্ষার্থীদের প্রকৃত আলেম তৈরি করতে পারেন, তাহলে এর চেয়ে উত্তম আর কিছু হবে না। প্রতিবেশীরা যদি অর্থনৈতিক চিন্তা করেন, তাহলে আপনি এই মাদ্রাসাকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। কারণ এই মাদ্রাসার সুনাম যতো বেশি ছড়িয়ে পড়বে, ততো বেশি দূরদূরান্ত থেকে এখানে শিক্ষার্থী আসবে, এই এলাকার অর্থনৈতিক প্রসার ঘটবে। তিনি বলেন, মাদ্রাসার মতো একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের খেদমত করার মতো তৌফিক সকলের থাকে না।

আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ নবনির্মিত মাদ্রাসার নতুন ভবনটি ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন। পরে মোনাজাত পরিচালনা করেন এই মাদ্রাসার প্রধান সমন্বয়ক ও মাদ্রাসাতুল আবু হুরায়রার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ইতমিনান পাবলিকেশনের মুফতি মূসা খান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়