প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৩৫
কার্যালয়ের সামনে চা দোকান-বাস কাউন্টার
রায়পুরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয় যেন মাদকের ‘আড্ডাখানা’

যথাসময়ে স্থানীয় সড়কগুলো যাতে সংস্কার করা হয় এবং প্রকৌশলীরা যেন কাজের সময় উপস্থিত থাকতে পারেন, বিশ্রাম নিতে পারেন এজন্যেই বাসভবনসহ কার্যালয় করে দেয়া হয়েছিলো। এটি রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে রায়পুর বাসটার্মিনাল ও থানার মাঝখানে অবস্থিত। কিন্তু এটি এখন ‘মাদকসেবীদের আড্ডাখানায়’ পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ রয়েছে কার্যালয়ের সামনে একটি চা দোকান ও বোগদাদ বাস কাউন্টারের জন্যে ভাড়াও দেওয়া হয় এটি। এই কার্যালয়ের সামনে সিএনজি স্টেশন হওয়ায় মাদকসেবীদের দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে পথচারী নারী ও স্কুল শিক্ষার্থীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, সড়কের পাশে প্রকৌশলীর জন্যে কার্যালয়টি নির্মিত হলেও তা বহিরাগতদের জন্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া সন্ধ্যার পর থেকেই ভেতরে মাদকসেবীদের আড্ডা দিতে দেখা যায়। মাদকের কেনাবেচা এবং হাতবদলের নিরাপদ স্থান হিসবেও ব্যবহৃত হচ্ছে অন্ধকার নিরিবিলির এই স্থান।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, রাতে মাদকসেবীরা মাঠে বসে আড্ডা দেয়। মাঝে মধ্যে আবার লেজার লাইট মেরে অশ্লীল শব্দ করে শিষ দেয়। আর দিনে সিএনজি চালক ও বখাটের সরগরম থাকে কার্যালয়ের সামনের জায়গায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের সহকারী ও উপসহকারী প্রকৌশলীর জন্যে বাসভবনসহ কার্যালয় ও তিনজন কর্মচারী থাকার কথা। একটি পুকুরসহ ২০-৩০টির মত ফলদ গাছ রয়েছে। গত ২০ বছর ধরে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকে না।
কার্যালয়ের সামনের জায়গা দখলকারী চা দোকানি রানা বলেন, আমি গরিব মানুষ। এক নেতার সহযোগিতায় একানে দোকান দিয়েছি। বোগদাদ বাস কাউন্টার এক বছর আগে চলে গেছে। এখন সিএনজি কাউন্টার করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েক মাস আগে যোগদান করি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদকের আসরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো বলে জানান। চা দোকান ও বাস কাউন্টারও করা হবে।