প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১:২৬
কচুয়ায় বিয়ের ঘটনা তদন্তে সহকারী পুলিশ সুপার

কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের সাথে একই গ্রামের বশিরের ছেলে মফিজের ২৯ ফেব্রুয়ারি সামাজিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
|আরো খবর
কচুয়া বিজ্ঞ আমলী আদালতে ছাদিয়ার দায়ের করা মামলার অভিযোগ মর্মে জানা যায়, ভূঁইয়ারা গ্রামের প্রাইভেটকার চালক মফিজ তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে স্বর্ণালংকার বাবদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে সামাজিকভাবে তাকে বিয়ে করেন। ভূঁইয়ারা বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব হাফেজ সফিকুল ইসলাম শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে পড়ান। বর পক্ষে বিয়ের মধ্যস্থতা করেন ও বিয়েতে সাক্ষী ছিলেন বর মফিজের খালাতো ভাই অহিদ । মেয়ের পক্ষে মধ্যস্থতা করে বিয়েতে উকিল দেন মেয়ের চাচা মোয়াজ্জেম। বিয়ের সময় সাক্ষী হিসেবে ছিলেন একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ মহিউদ্দিন, বরের বড়ো ভাই জসিম উদ্দিন, বাবুল, আবুল কালাম ও জমির। বিয়ের পরদিন মফিজ তার শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর মফিজের বড়ো ভাই জসিম ছাদিয়ার পরিবারের নিকট তার ভাই মফিজের জন্যে প্রাইভেটকার কেনার কথা বলে ১ লাখ টাকা আদায় করেন। তাছাড়া ওই বছর এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন ২৩ মে পালাখাল কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যাবার সময় ভূঁইয়ারা ইউসুফের দোকানের সামনে মিনরা ও তার ছেলে মফিজ ছাদিয়াকে গালমন্দ করে, হুমকি-ধমকি প্রদান করে। কোনো অভিযোগ দায়ের করলে বড়ো ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে।
এদিকে জোরপূর্বক বিয়ে পড়ানো হয়েছে এমনটি দাবি করে মফিজ চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথম দফায় তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিবেদন পেশ করেন কচুয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম। পুনঃ তদন্তের জন্যে সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই চৌধুরী রোববার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় মসজিদের খতিব হাফেজ শফিকুল ইসলাম, কনে সাদিয়া ও তার বাবা নুরুজ্জামান, বর মফিজের বড়ো ভাই জসিম ও মা মিনরা বেগমের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ সময় গ্রামের লোকজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।








