প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪৯
কচুয়া থানার ওসি আজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক

সাধারণ মানুষের মনে পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাই প্রবল। বিভিন্ন সময়ে সেই ধারণা পরিবর্তনের চেষ্টা করেও লাভ খুব একটা হয়নি। কিন্তু কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুল ইসলাম চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ওসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন।
|আরো খবর
মো. আজিজুল ইসলাম কচুয়া থানায় যোগদানের পর বিভিন্ন অপরাধ দমন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম বেগবান, সাজাপ্রাপ্ত আসামি আটক, মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে ও নারী-শিশু নির্যাতনের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণাসহ চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটনে রয়েছে তাঁর অসামান্য অবদান। তাঁর যুগোপযোগী দক্ষ নেতৃত্বে উপজেলার অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে তিনি জনপ্রতিনিধি, সুধীজন, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া প্রতিনিধি, সর্বস্তরের জনগণ এবং সকল ফোর্সের সাথে বিভিন্ন সময় মতবিনিময় করেন। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের সকল বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। তিনি অনেকটাই প্রমাণ করেছেন পুলিশ জনগণের বন্ধু। ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি বুঝতে পেরেছেন, মাদক ভয়াবহ রূপ ধারণ করে বর্তমান সমাজের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। তাই শুধুমাত্র শাস্তি দিয়ে কিছুতেই মাদক সমূলে নির্মূল করা সম্ভব নয়। আর এজন্য তিনি উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে কিছু ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছেন। তিনি সুশীল সমাজের সহযোগিতায় বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে মাদকবিরোধী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপশি তিনি 'মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারীদের এ পথ থেকে সরে না আসলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে’ বলে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য , মো. আজিজুল ইসলাম ২০১০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সর্বপ্রথম যোগদান করেন। তিনি বরিশাল জেলাধীন বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনে দলীয় নেতা-কর্মী, মিডিয়াকর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।