শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৫৩

বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে এজিএমের মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ!

হাইমচর প্রতিনিধি
বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে এজিএমের মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ!

হঠাৎ করেই পল্লী বিদ্যুতের এজিএমের মৃত্যুর সংবাদ ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এজিএম'র রুহের মাগফেরাত কামনায় একের পর এক পোস্ট ভাইরাল নেট জগতে। কতোটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হলে একজন জীবিত মানুষকে নিয়ে মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে উপহাস করা হয়! এমনই ঘটনা ঘটে চলছে হাইমচর উপজেলায়। পূর্ব ঘোষণা ব্যতীত ভোর থেকে উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তির শিকার হয় উপজেলাবাসী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ বিদ্যুৎ অফিস অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দেয়ার কথাও বলেছেন।

একজন লিখেছেন, অযোগ্য, মূর্খ এজিএম আসার পর থেকে হাইমচরে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে গ্রাহকরা এজিএমের পক্ষ থেকে চামারের ন্যায় ব্যবহারের সম্মুখীন হচ্ছেন।

একজন লিখেছেন, বিদ্যুৎ নাই কেন? কখন আসতে পারে? জানতে চাইলে তিনি আমাকে তার চেয়ারে বসে জানতে বলেন।

একজন লিখেছেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে কষ্টের চাইতে এই লোকের ব্যবহার আরও বেশি খারাপ।

বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দাবি, এজিএম তরিকুল আলমকে ফেরত নিয়ে পূর্বের এজিএম হাফিজুর রহমানকে হাইমচরে চান উপজেলাবাসী। আগের এজিএমের মুখের হাসিমাখা কথায় বিদ্যুতের ভোগান্তি কেটে যেতো।

বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, বরাবরই মানুষের মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া থাকলেও তার এ সংবাদে সাধারণ্যে ঘটে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। বিদ্যুৎ কর্মকর্তার মৃত্যুর সংবাদ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মনে এতোটাই উপহাসের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, জনগণ জানে তার মৃত্যু মানে বিদ্যুৎ নেই। মানুষ মারা গেলে ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়াটা স্বাভাবিক। আর হাইমচরে বিদ্যুৎ চলে যেতে দেখলে মানুষ তেমনটাই পড়েন।

বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ক্ষোভের কারণ হিসেবে জানা যায়, ঘন ঘন লোডশেডিং, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, এজিএমের চামারের মতো ব্যবহার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়