রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২২:২৮

মতলব উত্তরে মহিলা লীগ নেত্রী কর্তৃক শাশুড়ি ও ননসকে ব্যাপক মারধর, বসতঘর ভাংচুর

মতলব উত্তর ব্যুরো।।
মতলব উত্তরে মহিলা লীগ নেত্রী কর্তৃক শাশুড়ি ও ননসকে ব্যাপক মারধর, বসতঘর ভাংচুর
মতলব উত্তরে মহিলা লীগ নেত্রী কর্তৃক বসতঘর ভাংচুর, আহত ননস ও শ্বাশুড়ি।

মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়ন মহিলা লীগ নেত্রী কর্তৃক তার শাশুড়ি ও ননসকে ভাড়া করা লোক দিয়ে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ননসকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে বসতঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় পশ্চিম ইসলামাবাদ গ্রামের ঢালী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদির ভাইয়ের স্ত্রী ইউনিয়ন মহিলা লীগের নেত্রী নাজমা বেগম, নাজমার স্বামী খোরশেদ আলম ও তার ছেলে সাকিব হোসেন সহ আরো অজ্ঞাত ৮-১০ জন লোক ভাড়া করে এনে বাদী ফাতেমা বেগমের বসতঘরে অতর্কিত হামলা দেয় এবং আরেকটি নির্মাণাধীন বসতঘরের পালা ও চাল হ্যামার দিয়ে ভেঙ্গে ঘরটি দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বৃদ্ধ শাশুড়ি ফজিলতের নেছা ও বাদী ফাতেমা বেগমকে চোখে, মুখে ও শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাপক মারধর করে। ঘরে থাকা ১৬ হাজার টাকা মুল্যের একটি মোবাইল ফোন, ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মুল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৭৩ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বিবাদী ও তাদের সাথে থাকা ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা।

এ বিষয় ফাতেমা বেগম বলেন, বিগত দিন নাজমা মহিলা লীগ করে ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদেরকে ১২ বছর ধরে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। গত ১৮ তারিখেও আমাকে এবং আমার মাকে মেরে মারাত্মক আহত করে আমার বসতঘর ভাংচুর করে মাটিতে পিষিয়ে দিয়েছে। সে টাকা আর দলের পাওয়ার দেখায়। আমি কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে কোর্টে মামলা করেছি। প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।

আহত বৃদ্ধা ফজিলতের নেছা বলেন, আমার তিন ছেলে থাকতেও আমাকে ভাত কাপড় দেয় না। আমি আমার মেয়ের ঘরে থাকি। এখন তাকেও এই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্যে নাজমা বহুদিন ধরে অত্যাচার করছে। আমাকেও অনেক মেরেছে, আমি আইনের কাছে বিচার চাই। প্রত্যক্ষর্দীরা জানান, আমরা ডাকচিৎকার শুনে এসে দেখি ফাতেমা ও তার মাকে অনেক মারপিট করেছে। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেই। যারাই এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে এটা ঠিক হয়নি, অত্যন্ত দুঃখজনক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়