প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫, ০২:৪৭
শ্রীনগরে কামার কারিগরদের কর্মব্যস্ত দিন
ঈদুল আজহা সামনে রেখে ছুরি-বটি ধার করাতে ভিড়, কামাররা ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন সকাল-রাত

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র তিন দিন। আগামী ৭ জুন ২০২৫, শনিবার, সারাদেশের মতো মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরেও চলছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কোরবানির পশু ক্রয়ের পাশাপাশি পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য ছুরি, চাপাটি, বটি, দা ইত্যাদি সরঞ্জামের চাহিদা বেড়ে গেছে বহুগুণে।
|আরো খবর
এইসব সরঞ্জাম কিনতে বা ধার করাতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন কোরবানিদাতারা ও তাদের প্রতিনিধিরা। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রীনগরের কামারপল্লির কারিগররা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে ক্লান্ত হলেও ঈদ সামনে থাকায় তারা আনন্দিত।
শ্রীনগরের কামারপট্টিতে দেখা যায় রোকেয়া বেগম নামের এক নারী চাপাটি ও ছুরি কিনতে এসেছেন। তার স্বামী প্রবাসে এবং ছেলে ঢাকায় চাকরি করেন, তাই তাকে একাই আসতে হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রতি বছর স্বামী এসব কাজ করলেও এবার প্রবাসে থাকায় আমাকে আসতে হয়েছে। দাম একটু বেশি হলেও দরকারি জিনিস কিনতে হচ্ছে।”
অন্যদিকে, গিয়াস উদ্দিন নামে এক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি জানান, “আমার কাছে ছুরি-বটি আছে, তবে ধার নেই। তাই দোকানে এনে ধার দিচ্ছি। কামাররা খুব ব্যস্ত, তবে সবাই খুব আন্তরিক।”
শ্রীনগরের কামার নারায়ণ কর্মকার বলেন, “সারা বছরই কাজ করি, তবে কোরবানির সময় কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। কষ্ট হয় ঠিকই, তবে মানুষের উপকারে লাগতে পারছি—এটাই বড় আনন্দ।”
স্থানীয় বাজারগুলোতেও কামারের দোকানগুলোর সামনে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ ধার দিচ্ছেন, কেউ পুরনো ছুরি বদলে নতুন নিচ্ছেন, আবার কেউ কেবল মেরামত করাচ্ছেন।
এ যেন কামারদের জন্য বছরের সবচেয়ে কর্মচঞ্চল মৌসুম। ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের এই সময়ে তাদের অবদান সবার কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে।
“কষ্ট হচ্ছে ঠিকই, তবে মানুষের উপকারে লাগতে পারছি—এটাই বড় আনন্দ।” — নারায়ণ কর্মকার, কামার
ডিসিকে//এমজেডএইচ