প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ২২:০৭
দেইচরে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা
মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

ফরিদগঞ্জে জোরপূর্বক জমি দখল নিতে মারধরের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে নিজের ঘর নিজে পুড়িয়ে তাজুল ইসলাম গংয়ের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের দেইচর গ্রামের ঘোষ বাড়ির লোকমানের বিরুদ্ধে।
|আরো খবর
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, লোকমানের বাবা অলি আহমেদ মারা যাওয়ার পর নিজের মাকে লোকমান ঠিকমতো দেখাশুনা করেন নি। বৃদ্ধ বয়সে মাকে মেয়েদের কাছে পড়ে থাকতে হয়েছে। খাবার এবং ওষুধ, ট্রিটমেন্ট সব মেয়েরাই পরিচালনা করতো। মায়ের চিকিৎসার জন্যে নিজেদের ওয়ারিশকৃত সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করতে হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় ভাই লোকমান। সে জোরপূর্বক মালিকদের কাছ থেকে কেনা ঐ জমি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করে আসছে। জমির ক্রেতা তাজুল ইসলাম গংয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম বলেন, লোকমানের বোন রাবেয়া, সুফিয়া, সাহানাজ তারা তাদের মায়ের চিকিৎসা চালাতে পারে নি। তাই তারা সিএস ১২০৭ বিএস ২৩১৫ দাগে তাদের নিজেদের নামে
খারিজকৃত পাঁচ শতাংশ ভূমি সাফ কবলা দলিল মূলে আমার কাছে বিক্রি করে। যার দলিল নং ৫৮৫০/২০২২। এই জমি বিক্রি করে তারা তাদের মায়ের চিকিৎসা চালিয়েছে এবং ওই সম্পত্তি আমাকে দখল বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের ভাই লোকমান আমার সেই সম্পত্তির ওপর জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে এবং সেই ঘরে তিনি নিজেই আবার আগুন লাগিয়ে ঘর পোড়ানো মামলায় আমাকে, আমার ছোট ভাই ওহিদ ও আমার স্ত্রীকে আসামি করে মামলা দিয়েছে। সাজানো এই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। তাজুল ইসলাম প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানান।বিষয়টি নিয়ে লোকমানের বোনদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, লোকমান আমাদের ভাই। কিন্তু কখনো তিনি আমাদের মায়ের খবরাখবর নিতেন না। মা আমাদের তিন বোনের বাড়িতেই থাকতেন। মায়ের চিকিৎসা খরচ ও অন্যান্য খরচ বহন করার জন্যে আমরা মানুষের দ্বারে দ্বারে ওই সম্পত্তি বিক্রি করার জন্যে ঘুরি। আমাদের ভাই লোকমানকেও ওই সম্পত্তি ক্রয় করার জন্যে অনুরোধ করি। তার কাছে টাকা না থাকার কারণে আমাদেরকে নিষেধ করে দেয়। পরে আমরা আমাদের বাড়ির তাজুল ইসলামের কাছে জায়গা বিক্রি করি। আর ওই জায়গা আমাদের নামেই খারিজ করা ছিলো। তারা বলেন, লোকমান তাজুল ইসলামের সাথে এখন যা করছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি।
লোকমান বলেন, আমার বোনেরা সব জমি বিক্রি করে ফেলেছে। তাই আমি আদালতের দ্বারস্থ হই, যাতে জমি আমি ফিরে পাই। আমার মা তার জমি বিক্রি করে আমার বোনদের দিয়ে দিয়েছে। তাই আমি আমার মাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছি এবং মাকে আমাদের বাড়িতে দাফন করতে বাধা প্রদান করেছি।
স্থানীয় মেম্বার এমরান বলেন, তার বোনেরা সঠিক নিয়মে জমি বিক্রি করেছে। তাজুল ইসলামের জমি কেনাও ঠিক। কিন্তু লোকমান কেনো মামলা করে তাজুল ইসলাম গংকে হয়রানি করছে তা আমার বোধগম্য নয়।