শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৫

ক্ষয়ক্ষতি অর্ধ কোটি টাকা ছাড়িয়ে

মতলবের মুন্সিরহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

মতলবের মুন্সিরহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
রেদওয়ান আহমেদ জাকির ও জিএম আব্দুল কাদির।।

মতলব পৌরসভার মুন্সিরহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অর্ধ কোটি টাকার বেশি হবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দিবাগত রাত ৪টা ১০ মিনিটে বাতেনের চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মাইকে ঘোষণা দিলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও ভয়াবহতা এতোটাই ছিলো যে, ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা ছাড়া এটি নেভানো সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের অক্লান্ত পরিশ্রমে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকাল সাড়ে ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখায় ১২টি দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলী জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে মুদি, পোশাক ও ইলেকট্রনিক্স, মিষ্টি, কনফেকশনারী সামগ্রীর দোকান রয়েছে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ অর্ধ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. আনাস বকাউল বলেন, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে আমাদের সব দোকান মালামালে ভরপুর ছিল। দোকান ও মালামাল মিলে অর্ধ কোটি টাকার উপরে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ওয়াজকরুনি, আলী আহমেদ, বাতেন ফরাজী, নাজির, হেলাল উদ্দিন, নয়ন, হাশিম, শরীফ, সাজু, নুরু সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকের পুঁজি ও জীবনসংগ্রামের সবকিছুই আগুনে পুড়ে গেছে। তারা দ্রুত সরকারি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।

স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে আরও বড়ো বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। স্থানীয়রা কার্যকর অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুরো মুন্সিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দ্রুত পুনর্বাসন সহায়তা পাওয়ার আশায় রয়েছেন।

এদিকে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তিনি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় অফিসার ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়