বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২২, ১৯:৪০

প্রবাসী মেয়ের জামাইকে বেঁধে নির্যাতন

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রবাসী মেয়ের জামাইকে বেঁধে নির্যাতন

উপজেলার রূপসায় প্রবাসী মেয়ের জামাইকে বাসার গ্রিলের সাথে বেঁধে মারধর করেছে শশুর ও শালা। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম ছড়িয়ে পড়ে মহুর্তের মধ্যে। এদিকে রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন প্রবাসী জসিম উদ্দিন। ঘটনাটি উপজেলা ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে।

সূত্রমতে জানা যায়, গত দুই বছর পূর্বে একই গ্রামের ছলেমান মিয়ার মেয়ের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় প্রবাসী জসিম উদ্দিনের (৩৬)। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি সন্তানের জন্ম হয়। চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর প্রবাসী জসীম দেশে আসেন। আসার ১০/১২ দিন পরে জসিমের স্ত্রী রোজিনা বাচ্চার অসুস্থতার কথা বলে চলে যান বাপের বাড়িতে। গত ১৯ নভেম্বর শনিবার রোজিনার মুখে বাচ্চার অসুস্থতার কথা শুনে জসিম শুশুর বাড়িতে যায়। শশুর বাড়িতে উভয়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রোজিনার বাবা ছলেমান, ভাই মিলন, টেলু ও শাশুড়ি রোকেয়া মিলে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে গ্রিলের সাথে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে আবারও মারে। এসময় স্থানীয় লোকজন এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

প্রবাসী জসিম বলেন, বিয়ের পর থেকে আমাদের সম্পর্ক ভালো ভাবে চলতেছে। আমি বিদেশ থাকা অবস্থায় বাড়িতে পারিবারিক কিছু সমস্যা হয়। আমি বাড়িতে এসে সমাধান করবো বলেছি। আমি বাড়ি আসার পর আমার স্ত্রী আমার সাথে ১০/১২ দিন থাকার পর বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে বলে মেডিকেল যায়। সেখান থেকে সে বাপের বাড়িতে চলে যায়। গতকাল আমাকে ফোন করে বলে- বাচ্চা বেশি অসুস্থ। আমাকে যাওয়ার অনুরোধ করলে আমি যাই। সে বাড়িতে গেলে তারা আমাকে মারধর করে। পরে বিল্ডিং সাথে আমাকে বেঁধে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। পরে আমাদের এলাকার লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে যায়।

এদিকে মেয়ের বাবা ছলেমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাদের ঘরে তালা। পাশের ঘরে লোকজন বলেন, তারা বাড়িতে নাই। কোথায় গিয়েছে আমরা জানিনা। অপর প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাদের মেয়ে জামাইকে ঘরে সাথে বেঁধে মারধর করেছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ শহিদ হোসেন বলেন, উক্ত ঘটনার আমরা একটি জিডি গ্রহন করেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়