বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ৩৪ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৯

ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য ক্রীড়া সংগঠন বাবুরহাট একাদশ ক্লাব

পলাশ দে
ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য ক্রীড়া সংগঠন বাবুরহাট একাদশ ক্লাব

একটি অঞ্চল তার ঐতিহ্য, সুনাম বহন করে তার কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও ক্রীড়ামূলক কর্মকাণ্ড বিকাশের মাধ্যমে। মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে বড়ো হওয়া মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপা ও দয়া। মানুষ যখন শিশু থেকে ধীরে ধীরে বড়ো হতে থাকে, তখন স্থানীয় পরিবেশের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা সহ সামাজিক শিক্ষাদীক্ষা লাভ করতে হয়। তার কারণ হলো, মানুষকে সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে অনেক কিছু জানতে হয় এবং শিখতে হয়। অনেক কিছু জেনেশুনে শিখে বড়ো হতে হয়। মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে তার কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হয় শিখতে হয়। তবেই একজন পরিপূর্ণ সঠিক মানুষ হিসেবে সমাজে নিজকে মেলে ধরে চলতে পারে। একজন মানুষকে সামাজিক শিক্ষায় নিজকে সচেতন রাখতে হয়। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চর্চা মানুষের মনকে প্রফুল্ল চিত্তে জাগ্রত রাখে এবং প্রাণচাঞ্চল্য বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। সে লক্ষ্যে গঠিত ও পরিচালিত

একটি ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য ক্রীড়া সংগঠন হিসেবে সুনাম বহন করে চলছে চাঁদপুর জেলা শহরের বাবুরহাট একাদশ ক্লাব। এই ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাকাল বা জন্মলগ্ন সেই আশির দশকে। বাবুরহাটের তৎকালীন সমাজ সচেতন ক্রীড়া, সংস্কৃতিপ্রেমী ১১জন যুবকের মহতী উদ্যোগে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলো ক্লাবটি।

‘শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও ঐক্য’ এই স্লোগান নিয়ে সৃষ্টি বাবুরহাট একাদশ ক্লাবের। এ ক্লাবের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে প্রতিদিনই স্কুল ও কলেজের ছাত্রগণ ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করতেন। ফুটবল, অ্যাটলেটিক্স, সাঁতার, ক্রিকেট খেলায় বাবুরহাটের একটা সুনাম ছিলো বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে। ফুটবলপ্রেমী মানুষের সংখ্যা ছিলো বাবুরহাট এলাকায় বেশি। বিশেষ করে আশির দশকে ও নব্বইর দশকে বাবুরহাট হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে একাদশ ক্লাব আয়োজন করতো মাসব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্ট।

সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্ব নিয়ে ক্রীড়া-সংস্কৃতিকে মনে ধারণ করে একত্রিত হয়ে একাদশ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যে মহৎ প্রাণ মানুষগুলো, তাঁরা হলেন : মো. সাহাদাত হোসেন খান, মো. এরশাদ মজুমদার, মো. ফোরকান উদ্দিন খান, শাহআলম মজুমদার (নান্নু), মো. খান বাহাদুর, শ্যামল চন্দ্র দে, দেলোয়ার হোসেন মাল (দেলু মাল), মো. তাহের মাল, মো. মানিক খান, একেএম ফজলুল হক (তাহের), মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, তপন চন্দ্র দে, সমির চন্দ্র দে, লখাই চন্দ্র তহসিলদার ও যুবরাজ চন্দ্র দাস।

ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা মো. সাহাদাত হোসেন খান ও মো. তাহের মাল দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান যে, ১৯৮২ সালে আমরা ছিলাম যুব সমাজের একাংশ, প্রতিদিনই বাবুরহাট মাঠে ফুটবল খেলার আয়োজন ছিলো। তাই ধারাবাহিকভাবে ক্রীড়া-সংস্কৃতি চর্চার জন্যে আমরা উদ্যোগ নিয়ে বাবুরহাট একাদশ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন ক্লাব প্রতিষ্ঠার কয়েক যুগ পার হয়ে গেছে! আমাদের প্রতিষ্ঠাতাদের ক’জন ইতোমধ্যেই পৃথিবীর সৌন্দর্যের মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তাঁদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে।

সাহাদাত খান ও তাহের মাল আরো বলেন, বাবুরহাট একাদশ ক্লাবের দেশব্যাপী ক্রীড়াক্ষেত্রে সুনাম রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে খেলাধুলার আয়োজনে পৃষ্ঠপোষক না থাকায় এবং বিত্তশালী কেউ এগিয়ে না আসায় ক্রীড়া-সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাচ্ছে না। যা আজ সত্যিই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক ব্যাপার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়