প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৩৩
কমিউনিস্ট পার্টি চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন
সভাপতি জাকির হোসেন মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চাঁদপুর জেলা কমিটির ১২তম প্রতিনিধি সম্মেলন শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টায় উদীচী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড জাকির হোসেন মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য কমরেড জাহিদ হোসেন খান।
|আরো খবর
সম্মেলনে মতামত তুলে ধরেন জেলা কমিটির সদস্য সুধাংশু সাহা, মো. আবুল বাশার, চন্দ্র শেখর মজুমদার, মো. জহির উদ্দিন বাবর, মতলব উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. শ্যামল চন্দ্র ঘোষ, মতলব উপজেলার সদস্য হারুন অর রশিদ ও শিক্ষক শাখার সদস্য মো. বিলাল হোসেন।
সম্মেলনের অতিথি কমরেড জাহিদ হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। কমিউনিস্ট পার্টি তার জন্মলগ্ন থেকে অন্যায়, অবিচার, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। ২০২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থানের পর সেই নয়া উদারনৈতিক পু্ঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থাতেই আমরা আছি। সরকার বদল হলেও ব্যবস্থার বদল হয়নি। বর্তমান ইউনুস সরকার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের অনুগত হয়ে রাষ্ট্র চালাচ্ছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র। আইনশৃঙ্খলার অবনতি চরমে।
তিনি আরও বলেন, মনে হচ্ছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী রাষ্ট্রে চেপে বসেছে। আসলে তারা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে বেশিদিন অবস্থান নিতে পারবে না। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি। এরা বিদ্যমান অর্থব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে বুর্জোয়াদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে মরিয়া। উগ্রতা ও ভয়ের রাজনীতির চর্চা করে বেশিক্ষণ টিকে থাকা যায় না। তারা সেটাই করছে। হতাশার কিছুই নেই, মবোক্রেসি এবং দমন-পীড়নের রাজনীতি করে কেউই রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারেনি। মানুষের অধিকার সুরক্ষা, বাস্তবায়ন ও সম্পদের সুষম বণ্টন করতে কমিউনিস্ট পার্টির বিকল্প নেই। কমিউনিস্ট পার্টিই একমাত্র মুক্তির পথ। কারণ এখন পর্যন্ত মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ কোনো সরকারই দেখাতে পারেনি। বারংবার সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিই একমাত্র মুক্তির পথ।
সম্মেলনে সর্বসম্মতিতে পুনরায় কমরেড মো. জাকির হোসেন মিয়াজীকে সভাপতি ও কমরেড জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন : কমরেড সুধাংশু সাহা, কমরেড মো. আবুল বাশার, কমরেড চন্দ্র শেখর মজুমদার, মো. জহির উদ্দিন বাবর ও ডা. শ্যামল চন্দ্র ঘোষ।