প্রতিমা তৈরির স্থান পরিদর্শনে র‍্যাব-১১, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

চাঁদপুর জেলায় ২২৪টি মণ্ডপে হবে এবার দুর্গাপূজা। সে লক্ষ্যে প্রতিমা তৈরির স্থান পরিদর্শন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোর করেছে র‍্যাব-১১।

মহালয়ার পর থেকেই চাঁদপুর জেলার ২২৪টি দুর্গাপূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় সার্বিক টহল জোরদার করা হওয়ার কথা জানিয়েছেন র‍্যাব-১১ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সন্ধ্যায় শহরের কালীবাড়ি মন্দিরের পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির স্থান পরিদর্শনকালে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান।

মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, গেল বছরের চেয়ে এ বছর আরও ভালোভাবে যাতে সনাতনীরা দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে পারেন, সেজন্য র‍্যাব-১১ থেকে তাৎক্ষণিক সংবাদ পেতে ১টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া আমাদের ২টি টিম সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে এবং একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত থাকবে, পাশাপাশি সাদা পোশাকে র‍্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবেন। ইতোমধ্যে প্রতিটি পূজা মণ্ডপের দায়িত্বশীলদের যোগাযোগের নম্বর আমরা সংগ্রহ করেছি এবং তাদেরকেও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ নাম্বার সরবরাহ করেছি। যাতে যে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের দ্রুত সংবাদ দিতে পারেন এবং আমরাও তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারি।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এখন আমরা পূজা মণ্ডপের প্রতিমা তৈরির স্থানগুলো টার্গেট করে টহল চালাচ্ছি। প্রতিমা স্থাপনের পর পূজা মণ্ডপ ও দুর্গম স্থানগুলো চিহ্নিত করে টহলসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালাবো। পঞ্চমী থেকে দশমীর দুর্গাপূজার বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর থেকে ভোর পর্যন্ত সময়কে গুরুত্ব দিয়ে আমরা মাঠে থাকবো। আশা করছি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে খুব সুন্দরভাবে এবারের দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে পারবো এবং এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তাও প্রত্যাশা করছি।

এ সময় চাঁদপুর কালীবাড়ি পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য তমাল ভৌমিক দুর্গা দেবীর প্রতিমা তৈরির মাটির কাজ শেষ ও দ্রুত রঙের কাজ শুরু হওয়ার কথা জানিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তাকে পূজা মণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখান এবং নিজেদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময় চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অমরেশ দত্ত জয়, যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল সরকার, চাঁদপুর সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।