প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৮
ফারুক মরলো সৌদিতে, স্ত্রী-সন্তানদের কী হবে দেশে?

পুরো ৮ লাখ টাকা দেনা করে দেশে তিন অবুঝ সন্তান, স্ত্রী আর পরিবার পরিজন রেখে হাজীগঞ্জের ফারুক হোসেন পাড়ি জমান সৌদি আরবে। মাত্র ১০ মাসের প্রবাস জীবনে মৃত্যুবরণ করেন ফারুক। তার মৃত্যুতে তার পরিবার পরিজন হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। দেনা পরিশোধ করবে কে? বাচ্চাদের দেখবে কে? লাশ দেশে আনার দায়িত্ব নেবে কে? মা-বাবা বৃদ্ধ বয়সে করবে কী? এমন প্রশ্ন সামনে আসলে চোখে মুখে কুয়াশা দেখে পরিবারটি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের নিজ বাসায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির মরহুম বাচ্চু পাটওয়ারীর বড়ো ছেলে।
|আরো খবর
নিহতের ভাই ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, ভাই ৮ লাখ টাকা কিস্তি (ঋণ) ও ধার-দেনা করে সৌদি আরবে গেছেন। তিনি দাম্মামে একটি কপি শপে শ্রমিকের কাজ করতেন। এর মধ্যে ঋণের দু লাখ টাকার মতো তিনি পরিশোধ করতে পেরেছেন। এখনো বাকি প্রায় ছয় লাখ টাকা।
তিনি আরো জানান, ভাইয়ের ছেলে-মেয়েরা এখনো অবুঝ ও ছোট। ভাইয়ের স্ত্রী, ১৩ বছর ও ৮ বছর বয়সী দু মেয়ে এবং ৫ বছর বয়সী এক ছেলে সহ তিন সন্তান রয়েছে। এখন ঋণের টাকা শোধ করবে কীভাবে, আর তার পরিবার চলবে কীভাবে ? এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান বলেন, জানতে পেরেছি আজ (সোমবার) সকাল ৭টার সময় সৌদি আরবে দাম্মামে নিজ বাসায় ফারুক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হন। ওই সময় তার স্বজনেরা তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। অনেক টাকা ঋণ আছে তার। ফারুকের মৃত্যুতে তার পরিবার (স্ত্রী) দিশেহারা।
ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব বলেন, সেখানে (সৌদি আরব) ফারুকের ভাই ও ভগ্নিপতি আছেন। তারা তার মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করবেন। ফারুক ভালো মানুষ ও পরিশ্রমী ছিলেন। কয়েক মাস পূর্বে পারিবারিক সচ্ছলতা ফেরাতে প্রবাসে গিয়েছেন। এখন ফিরবেন লাশ হয়ে।