শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৬

চাঁদপুর লঞ্চঘাটের এমন রূপ সবসময় বহাল থাকুক

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের এমন রূপ সবসময় বহাল থাকুক

চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলা বিশৃঙ্খলা, দালালচক্রের উপদ্রব ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত অভিযানের ফলে ঘাটে ফিরেছে শৃঙ্খলা ও স্বস্তি। নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম ইকবাল জানান, ঘাটে যাত্রী হয়রানি, লঞ্চগুলোতে টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ এবং দালাল, হকার, সিএনজি অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত অটোবাইক ড্রাইভারদের দৌরাত্ম্য রোধে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে ঘাট ব্যবস্থাপনায় এসেছে শৃঙ্খলা। আর নিয়ম-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নতি হয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল। পন্টুন এলাকায় সিসি ক্যামেরা না থাকায় পূর্ণ নজরদারিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্থানীয় যাত্রী ও ব্যবসায়ী মহল নৌ থানার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। অনেকেই বলেন, আগে ঘাটে নামলেই দালালদের কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো, এখন সেই সমস্যা অনেকটাই কমেছে।

চাঁদপুর লঞ্চঘাট দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দরের অংশ হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখানে যাতায়াত করে। নৌ পুলিশের এই উদ্যোগ ঘাট ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও নিরাপদ করার পথে একটি বড়ো অগ্রগতি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশে যদি পাঁচটি লঞ্চঘাটকে সবচে’ বিখ্যাত বলে আখ্যায়িত করা হয়, তার মধ্যে চাঁদপুর তো আছেই এবং থাকবেও। এর কারণ, ভৌগোলিকভাবে এ লঞ্চ ঘাটটির গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। ঢাকা ও চাঁদপুরের মধ্যে ৩-৪ ঘণ্টা সময়ের উপভোগ্য নৌভ্রমণে এবং ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে দেশের পূর্বাঞ্চলের সাথে দক্ষিণাঞ্চলে নৌপথে যাতায়াতে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের অনিবার্যতা এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এ লঞ্চঘাটটি আধুনিকায়নের কাজ চলছে, তবে অত্যন্ত ধীর গতিতে। কেননা বাংলাদেশে জাইকার কাজ বিশ্বমানের হলেও বিশ্ব ব্যাংকের কাজ বিশ্বমানের হয় না। যার নিকৃষ্ট নমুনা তো হাতের কাছেই আছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে অনেক উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারদের পালিয়ে যাওয়ার অজুহাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছু কিছু ক্ষেত্রে যা করছে, সে তুলনায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটের উন্নয়ন যাত্রা গতি হারালেও থেমে যায় নি। আমাদের বিশ্বাস, বছরের পর বছর অপেক্ষার যন্ত্রণায় ভুগলেও চাঁদপুর লঞ্চঘাট একদিন আধুনিক হবে এবং নৌযাত্রীদের কাছে পছন্দের তালিকায় শীর্ষ স্থানে পৌঁছবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ লঞ্চঘাটে যদি নৌপুলিশের তৎপরতায় শৃঙ্খলাপূর্ণ রূপ থাকে, যাত্রীদের যাতায়াত ও তাদের সেবা যদি স্বস্তিপূর্ণ হয়, তাহলে সেটা প্রশংসনীয় না হয়ে পারে না। আমরা এজন্যে নৌপুলিশকে সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই, চাঁদপুর লঞ্চঘাটের শৃঙ্খলাপূর্ণ রূপ নৌপুলিশের তৎপরতায় সবসময় বহাল থাকুক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়