শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫, ২২:০০

দেখার কেউ নেই............

জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বিধবা কাজল রাণী

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বিধবা কাজল রাণী

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্বামী যতদিন বেঁচে ছিলেন, তিনিই মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সাহায্যের জন্যে হাত বাড়িয়েছেন, মানুষও তাকে সহায়তা করেছেন। কিন্তু ৪ বছর পূর্বে স্বামীহারা হওয়ার পর মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে দিশেহারা বৃদ্ধা কাজল রাণী। পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম সদস্য হচ্ছে পুত্রবধূ। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রান্নার কাজ করে যা আয় করছেন তা দিয়েই চলছে জোড়াতালির সংসার। কিন্তু সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে ঘর আর মেরামত করতে পারেন নি। ফলে জরাজীর্ণ ঘরেই বসবাস করতে হচ্ছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ঘড়িহানা গ্রামের বিধবা কাজল রাণী চক্রবর্তীকে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনের চালে মরিচা ধরায় বেশ ক'টি জায়গায় ছিদ্র হয়ে গেছে। চালের নিচে পলিথিন টাঙ্গিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন কাজল রাণী। বৃষ্টির সময় ঘরের ভেতরে ছোট ছোট পাত্রে পানি জমে। এমন দুরবস্থার মধ্যেই চলছে তার জীবন। টিনের বেড়া, কাঠের দরজা, জানালাও নড়বড়ে। যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়ে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

কাজল রাণী চক্রবর্তী বলেন, বৃষ্টির সময় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। চালের নিচে পলিথিন দিয়েছি, কিন্তু তাও কাজ হয় না। পাত্র পেতে পানি ধরি, তাতেও সামাল দেওয়া যায় না।

২০২১ সালে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্বামী নারায়ণ চন্দ্র চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়। একমাত্র ছেলে নেপাল চন্দ্র চক্রবর্তী মানসিক প্রতিবন্ধী। পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ভরসা পুত্রবধূ, যিনি স্থানীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রান্নার কাজ করে যা আয় করেন, তা দিয়েই কোনোমতে চলে সংসার। কাজল রাণীর একমাত্র ভাতার কার্ডটিও বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমি খুব কষ্টে আছি। ঘরটা যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। সরকারের কাছে এবং সমাজের বিত্তবানদের কাছে একটা ঘর করে দেয়ার অনুরোধ জানাই।

এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সরকারি সহায়তা দিয়ে কাজল রাণীর নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হোক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়