শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫  |   ৩৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৫, ১২:৩২

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অভিনন্দন

কাজী শাহাদাত
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অভিনন্দন

হাইমচরের কৃতী সন্তান মো. মাহবুব-উল-আলম বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব পদমর্যাদায় পদোন্নতি পেয়েছেন। গত বুধবার (৩০ এপ্রিল ২০২৫) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত পত্রে সচিব পদে পদোন্নতির পর এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক থেকে বদলি করে মো. মাহবুব- উল-আলমকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়। এরপর সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলো এই কর্মকর্তাকে। ইতঃপূর্বে তিনি ডাক ও টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বিসিএস একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ফেনী জেলার আরডিসি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের পি.এস, কুমিল্লার দ্বেবিদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে ১১ম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রশাসনে সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমকে পদোন্নতি দিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হলো। ‘জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে’।

যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম হাইমচর উপজেলার গণ্ডামারা গ্রামের পাটওয়ারী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২ সন্তানের জনক। তিনি ঢাকাস্থ হাইমচর উপজেলা জনকল্যাণ সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি হাইমচরের অন্যতম উপদেষ্টা। তঁার কর্মজীবনের সাফল্যে চঁাদপুর-হাইমচরবাসী আনন্দিত ও গর্বিত।

আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমকে চঁাদপুর জেলাবাসীর পক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। সততা, নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার বলে তিনি সরকারের সচিব পদে অধিষ্ঠিত হয়ে নিজের পেশাগত জীবনকে যেমন উজ্জ্বল করেছেন, তেমনি চঁাদপুরবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তিনি অনেকটা নিভৃতচারী বলেই অন্য অনেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার ন্যায় তিনি জেলাবাসীর কাছে এতোদিন খুব বেশি পরিচিত ছিলেন না। তাই তঁার কাছে জেলাবাসী এতোদিন কিছু চাওয়ার সুযোগ খুঁজতে পারেনি। এবার নিশ্চয় সে সুযোগ এসেছে। তঁার নিজ এলাকা হাইমচর খেলাধুলার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। বিবর্ণতা গ্রাস করে আছে এখানকার ক্রীড়াঙ্গনকে। আশা করি ক্রীড়াচর্চায় হাইমচরকে এগিয়ে নিতে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। এ ক্ষেত্রে হাইমচরের ক্রীড়ানুরাগী, ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়দেরও থাকতে হবে আগ্রহ। হাইমচরের ক্রীড়া উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি তিনি যদি জেলা শহরের দিকে একটু নজর দেন, তাহলে চঁাদপুর স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন সহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের দ্রুত সম্পন্নকরণে প্রভাব পড়বে। আশা করি যতো দ্রুত সম্ভব এতোটুকু তিনি করবেন। আর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে যা যা ন্যায্যভাবে চঁাদপুর জেলার জন্যে করার দরকার, সেটুকু তিনি করবেন। তঁাকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে এতোটুকু চাওয়াতে তিনি দোষের কিছু ভাববেন বলে আমরা বিশ্বাস করি না। চঁাদপুরের গর্ব মো. মাহবুব-উল-আলমের জন্যে আমাদের নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়