প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫, ১১:৫৩
ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি টের পেয়ে পাইলট প্লেনটি জরুরি অবতরণ করেন। প্লেনটিতে পাঁচটি শিশুসহ ২৯১ জন আরোহী ছিলেন। মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
|আরো খবর
জানা গেছে, তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৭টার দিকে ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট এর একটি ইঞ্জিনে (দুটি ইঞ্জিন থাকে) স্পার্ক দেখতে পান। পাইলট প্লেনটি দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ অবস্থায় আকাশে চক্কর দিয়ে তেল পুড়িয়ে সোয়া ৮টায় জরুরি অবতরণ করেন পাইলট।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট একটি ইঞ্জিনে কিছুটা স্পার্ক দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, বার্ড হিটের ঘটনা ঘটতে পারে। তখন পাইলট তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বিমানবন্দরে ফিরে আসেন। যাত্রীরা নিরাপদ আছেন। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীদের প্লেন থেকে অফলোড করা হয়েছে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে এক বক্তব্যে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টিকে৭১৩ ফ্লাইটের ইঞ্জিন-২-এ অপ্রত্যাশিত পাখির ধাক্কার ঘটনায় ঢাকা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। ফ্লাইটের সব যাত্রী, ক্রু নিরাপদে আছেন। যেহেতু প্লেনটির মেরামতের প্রয়োজন, তাই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগবে। যাত্রীদের আরাম ও বিশ্রামের জন্য নিকটবর্তী হোটেলগুলোতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্লেনটিতে ১৯ জন ছিলেন বিজনেস শ্রেণির যাত্রী, ২৫৬ জন ছিলেন ইকোনমিক শ্রেণির যাত্রী, শিশু ছিল পাঁচজন। আর ১১ জন ছিলেন ক্রু। উল্লেখ্য, গত ১৬ মে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা (বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ার) খুলে নিচে পড়ে যায়। তবে ফ্লাইটটি পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণে সক্ষম হয়। ফ্লাইটে শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী ছিল। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।