প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪৩
হাজীগঞ্জে ফেসবুকে পোস্টের জেরে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ২৪

তারেক রহমান ও রুমিন ফারহানার এডিট করা মূর্তি বানানো ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে প্রায় ২৪ জন আহত হয়েছে বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হয়নি, আর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর ২০২৫) সকালে উপজেলার ৯ নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের পালিশারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ যথাযথ আইনী ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে বিএনপি কঠিন কর্মসূচি দেবে বলে বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাটোয়ারী জানান, জামায়াতের ঐ ইউনিয়ন আমির হাফেজ ইলিয়াস আমাদের নেতা তারেক রহমান ও রুমিন ফারহানার ছবি এডিট করে মূর্তি বানিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে আমাদের কর্মীরা জামায়াতের ঐ নেতার সাথে কথা বলতে গেলে তারা একত্রিত হয়ে আমাদের ৯ জনকে মারাত্মক আহত করে। এর মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও অপর ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হয়েছে। উপজেলা জামায়াতের আমীর বিএম কলিম উল্যাহ ভূইয়া জানান, ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি হাফেজ ইলিয়াস হোসাইন ভুল একটা ছবি পোস্ট করেছে। বিষয়টি আমরা জানার পরে তা ডিলেট করে ফেসবুকের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছি। এ নিয়ে এদিন সকালে আমরা পালিশারা বাজার সংলগ্ন মসজিদে বসার কথা, কিন্তু তার আগেই বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে পালিশারা বাজারে জড়ো হয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে করে আমাদের আহত ১৩/১৪ জনকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব কাজী জসিম জানান, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা ইলিয়াস হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার বিকৃত ছবি শেয়ার করে। আজ শুক্রবার সকালে তাদেরকে বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে। অভিযুক্ত মাওলানা ইলিয়াস হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে একটি ছবি আমার অসাবধানবশত শেয়ার হয়েছে। বিষয়টি আমাকে কয়েকজন জানানোর পর আমি ডিলেট করে দেই। ঘটনা যা হয়েছে, তা নিয়ে আমি ফেসবুকে পোস্ট করে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তারপরেও আজ শুক্রবার সকালে বসার কথা ছিলো। আমার উদ্দেশ্য ছিলো আমি ক্ষমা চাইবো। কিন্তু তারা বসার পূর্বেই আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে কয়েকজনকে আহত করে। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, পরিস্থিতি পুরো শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। এ ঘটনায় ৪/৫ জন আহত হয়েছে।