শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ২১:৩৬

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নে এক মেয়েকে বিয়ে করার জন্যে তার পরিবারের কাছে প্রস্তাব দিলে ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণে জোরপূর্বক মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায়ও একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগের আলোকে জানা যায়, ইউনিয়নের সাহাপুর হোনার বাড়ির দিনমজুর নূর হোসেনের কিশোরী কন্যা স্থানীয় সাহাপুর চৌধুরী গাজী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। মাদ্রাসায় যাওয়া আসার সময় স্থানীয় চৌধুরী বাড়ির মনির হোসেনের ছেলে মো. শুভ প্রতিনিয়ত রাস্তায় ওই কিশোরী মেয়েকে বিভিন্ন রকম কুপ্রস্তাব এবং বিরক্ত করতো। এই রকম বিরক্ত করা দীর্ঘদিন চলে আসছিলো। পরে কিশোরী মেয়ে উপায়ন্তর না পেয়ে তার পিতামাতাকে বিষয়টি অবগত করেন। কিশোরীর পিতা নূর হোসেন অভিযুক্ত শুভর পিতা মনির হোসেন প্রবাসে থাকার কারণে তার মা জোসনা বেগম ও চাচাতো ভাই ভুট্টুকে অবহিত করেন। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে উল্টো নূর হোসেনের কিশোরী মেয়েকে শুভর কাছে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করে। কিন্তু নূর হোসেনের মেয়ে ছোট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক বিধায় তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে করে শুভর মা ও তার চাচাতো ভাই ভুট্টু নূর হোসেনের ওপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং শুভ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট ২০২৫) সকালে নূর হোসেনের বাড়ি থেকে তার মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি নূর হোসেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা নূর হোসেনসহ শুভদের বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে পিতার হেফাজতে দিতে অনুরোধ করলে তারা নূর হোসেনের ওপর এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

বিষয়টি নিয়ে নূর হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার মেয়ে বর্তমানে কোথায় আছে, কেমন আছে, বা বেঁচে আছে কিনা জানি না। নূর হোসেনের স্ত্রী ফরিদা বেগম বলেন, আমার মেয়েটা একেবারেই ছোট, মেয়েটা এখন বেঁচে আছে কিনা সেটাই জানি না। আমার মেয়েকে ফেরত পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্যে মো. শুভদের বাড়িতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি এবং তাদের ঘরে তালা মারা দেখা যায়। এ সময় বাড়ির অন্যরা জানান, ওই কিশোরী মেয়ের সমস্যাকে কেন্দ্র করে তারা বাড়ি থেকে সরে আছে।

স্থানীয়দের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এলাকাটি বর্তমানে মাদক বিক্রি ও সেবনকারীদের আস্তানা হিসেবে পরিচিত। তারা বলেন, শুভ ছেলেটি খারাপ ছিলো না। ছেলেটি ইতঃপূর্বে এলাকার কিছু কিশোর গ্যাংয়ের পাল্লায় পড়ে খারাপ হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর অভিমত, এলাকার এই কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত এখনই প্রতিহত না করতে পারলে আরো বড়ো ধরনের অঘটন হতে পারে এ এলাকায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান জানান, আমাদের পক্ষ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়