প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৫:২২
গলায় ধারালো দা ঠেকিয়ে দিনদুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ২, টাকা উদ্ধার

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দিনেদুপুরে গলায় ধারালো দা ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় সিলেট শাহপরাণ এলাকা থেকে ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ। এ সময় ছিনতাইকৃত ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট ২০২৫) বড়লেখা থানা পুলিশ সিলেট জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে শাহপরাণ কাজিরবাজার এলাকা থেকে সেলিম আহমেদ অনিক (৩৭) ও সাকিব আহমদ (২৫) নামের দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাই করা নগদ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র দা, একটি মোটরসাইকেল, হেলমেট ও অপরাধকালে ব্যবহৃত জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন,
ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলার বাদী আব্দুল আহাদ গত ৩০ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পূবালী ব্যাংক বড়লেখা শাখা থেকে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে তার মেয়ে সুহাদা আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগে রাখেন। এছাড়াও মেয়ের ব্যাগে আগের আরও ১৬ হাজার টাকা ছিলো। ব্যাগে মোট ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা নিয়ে বাবা ও মেয়ে মোটর সাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে শিমুলিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে ২ টি মোটরসাইকেলে করে আসা ৪ ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে। এ সময় আব্দুল আহাদের মেয়ে সুহাদা আক্তারের গলায় ধারালো দা ধরে তাকে জিম্মি করে সঙ্গে থাকা টাকাভর্তি ভ্যানিটি ব্যাগ, স্মার্ট ফোন ও গলায় থাকা ২ভরি ওজনের রুপার চেইন এবং ব্যাগে থাকা স্মার্টকার্ড ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বড়লেখা থানায় দস্যুতার অভিযোগে নিয়মিত (মামলা নম্বর ১৭, তারিখ ৩০/০৭/২০২৫, ধারা ৩৪১/৩৯২ দণ্ডবিধি) দায়ের হলে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা এবং কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেনের নেতৃত্বে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, এসআই রতন কুমার হালদার, এসআই সুব্রত চন্দ্র দাস, এএসআই ফজলে আজিম, এএসআই সুলতানসহ পুলিশের একটি টিম অপরাধীদের ধরতে মাঠে নামে।
পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অপরাধীদের আটক ও ছিনতাই করা টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।