প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৭:২৯
স্কুলছাত্র তুহিন হত্যার আসামীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে

চাঁদপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মমিনপাড়া এলাকার স্কুলছাত্র আল আমিন হোসেন তুহিন (১৭) হত্যার আসামীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। নিহতের বাবার অভিযোগ, তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
|আরো খবর
১২ জুলাই ২০২৫ রাতে তুহিনকে মারধর করে মেরে ফেলা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা রমজান আলী প্রধানিয়া চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার তুহিন হাইস্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তার পিতা রমজান আলী প্রধানিয়া একজন ব্যবসায়ী। গত ১২ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় বাসা থেকে নাস্তা খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে ভূঁইয়া বাড়ির সামনে যায় তুহিন। এরপর সে আর বাসায় ফেরেনি। রাত আনুমানিক ৯টা ৫০ মিনিটে সংবাদ পেয়ে নিহতের পরিবার দ্রুত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে তারা দেখতে পান, তুহিনের চোখের পাশে কাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত পড়ে আছে।
পরে জানা যায়, তার সাথে চলা বন্ধু ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে ডেকে হাসান আলী হাই স্কুল মাঠসংলগ্ন লেকপাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তার কিছু সহপাঠীও উপস্থিত ছিলো। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টায় কিছু অজ্ঞাত লোকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাদের মারধর থেকে আত্মরক্ষার্থে তুহিন লেকে ঝাঁপ দিলে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু কর্মরত চিকিৎসক তুহিনকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তুহিনের পিতা রমজান আলী প্রধানিয়া বলেন, আমার ছেলেকে যেভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আমি এর সঠিক বিচার চাই। আমার ছেলেকে হাসান আলী হাই স্কুল মাঠে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আজ ১৬ দিন হয়ে গেলো, আমার ছেলের মৃত্যুর সাথে যারা জড়িত এমন কাউকে পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের বিচার চাই।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। হত্যার কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুতই আসামিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।